শিরোনাম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮
'মুক্তমনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও হয়রানি বাড়বে'
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১২
'মুক্তমনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও হয়রানি বাড়বে'
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মুক্তমনা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও হয়রানি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে 'বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন'। বুধবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এ আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক। এ সকল ধারা মুক্ত চিন্তা ও মতামত প্রকাশে সহায়ক নয়। অন্যদিকে পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে ডিজিটাল এজেন্সির অনুমোদন নেওয়ার বিষয়টিও ফলে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৯ কোটি গ্রাহক রাস্তা বের হলে পুলিশের তল্লাশির নামে হয়রানির শিকার হতে পারেন। এতে করে দুর্নীতি বেড়ে সুশাসন অনিশ্চয়তার মধ্যে পরার সম্ভবনাই বেশি। মানুষকে সচেতন ও সুশিক্ষিত না করে কারাগারে ভর্তি করার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণীত হয়েছে।


‌এ সময়, সিপিবির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। কথা বলার, প্রশ্ন করার অধিকার খর্ব করে, স্বাধীন ও মুক্তভাবে মতামত প্রকাশে, স্বাধীনতা খর্ব দেশের অগ্রগতি করা যাবে না। এই আইনে মানুষের মুখ ও চোখ বেঁধে দেয়া হয়েছে। এই আইনে পুলিশকে গ্রেফতারের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তার অপব্যবহার যে হবে এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সংবাদ মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, দুর্নীতিবাজদের বিপদ হলেও সমাজের জন্য উপকারী। এই আইনে সংবাদকর্মীদের কলম ও চোখ বেঁধে দেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি এই আইন আরও পর্যালোচনা করা, অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী মানুষ কোন কালো আইন মেনে নেবে না।’


বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে মানুষকে নিরাপত্তাহীন করা হয়েছে। দেশে অনেক আইন আছে তা যথাযথ প্রয়োগ হলে নতুন আইন দরকার নেই। অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট আসলে দুর্নীতি বিরোধী কোন কথা বলা যাবে না। এর মাধ্যমে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’


সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবির হিরু বলেন, ‘এই আইন চালু হলে মত প্রকাশ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব হবে। তাই এখনই এই আইন বাতিল করা দরকার। আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় এই আইন করা হয়েছে। তাই চলমান রাজনৈতিক ধারা বাতিল করতে না পারলে কালো তৈরির ধারাও বহাল থাকবে।’


সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহবায়ক হারুন অর রশিদ খান, জাগো বাঙালীর সভাপতি ড. মেজর হাবিবুর রহমান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কাজী আমান উল্যাহ মাহফুজ, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. রেজাউল করিম, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।


বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com