শিরোনাম
''তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়''
প্রকাশ : ২৪ মে ২০১৭, ১৭:৫২
''তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়''
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন (গুল, জর্দা) তামাকে কর (সম্পূরক শুল্ক) না বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাকে ''চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী'' আখ্যায়িত করে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে দেশের তামাকবিরোধীরা।


তামাকবিরোধী বেসরকারি সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এক বিবৃতিতে বলেছে, সরকার যখন বলছে গতবছরের তুলনায় চলতি বছর জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৯.২৭ শতাংশ, তখন তামাকপণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার অর্থ হলো এগুলো আরো সহজলভ্য করা। ভ্যাটের হার কমিয়ে ১২/১৩ শতাংশ করা হলে এসব তামাকপণ্য আরও সস্তা হয়ে পড়বে।


বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবনায় সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে মূল্যস্তরের সংখ্যা কমিয়ে জটিলতা কমানোর পরিবর্তে কার্যত আরো একটি মূল্যস্তর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সিগারেটের সর্বনিম্ন স্তর ভেঙ্গে দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সিগারেট এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সিগারেট নামে দুটি নতুন স্তর সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া করারোপের পুরানো ও জটিল এডভ্যালোরেম পদ্ধতিও বহাল রাখা হয়েছে। তামাকবিরোধীদের সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। মোটের ওপর, একটি সহজ ও কার্যকর তামাক করব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন এই প্রস্তাবনায় নেই।


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জর্দা ও গুলের করহার একই রাখা হয়েছে। অথচ দেশের মোট তামাক ব্যবহারকারীর ৫০ শতাংশই ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য ব্যবহার করেন। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কোনো প্রয়াস এনবিআরের বাজেট প্রস্তাবনায় নেই। অন্যদিকে, নিম্নস্তরের সিগারেট এবং বিড়ির মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলেও সম্পূরক শুল্ক মাত্র ২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এডভ্যালোরেম পদ্ধতি বহাল থাকায় এই দুটি পণ্যের মূল্য যতটুকু বাড়বে তার সিংহভাগই যাবে তামাক কোম্পানিগুলোর পকেটে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত তামাক কর সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক হবে না।


বিবৃতিতে হতাশা প্রকাশ করে বলা হয়, এভাবে তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ যেমন সম্ভব নয়, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর ''২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ'' গড়ার ঘোষণাও ব্যর্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com