শিরোনাম
ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দিনের জন্মদিন
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৬
ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দিনের জন্মদিন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলার ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দিন আহমেদ। বরেণ্য এ মানুষটির জন্ম ১৯০১ সালের এই দিনে (২৭ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার এই কিংবদন্তির ১১৫তম জন্মবার্ষিকী।


আব্বাসউদ্দিন আহমদের পিতা জাফর আলী আহমেদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতের উকিল। বলরামপুর স্কুলে আব্বাসউদ্দিনের শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯১৯ সালে তুফানগঞ্জ স্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা এবং ১৯২১ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এখান থেকে বিএ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে তিনি সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। এ জগতে তার ছিল না কোনও ওস্তাদের তালিম। আপন প্রতিভাবলে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি প্রথমে ছিলেন পল্লী গানের একজন গায়ক। যাত্রা, থিয়েটার ও স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান শুনে তিনি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং নিজ চেষ্টায় গাওয়া রপ্ত করেন। এরপর কিছু সময়ের জন্য তিনি ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছিলেন।


রংপুর ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাসউদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তারপর জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগান ইত্যাদি গেয়ে জনপ্রিয় হন। তিনি তার দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লী গানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা আজও অদ্বিতীয়। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদদীন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখের ইসলামী ভাবধারায় রচিত গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন।


সংগীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৬০), শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৯) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন। ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পল্লীগানের এ কিংবদন্তি মৃত্যুবরণ করেন। তার সন্তান মুস্তাফা জামান আব্বাসী এবং ফেরদৌসী রহমানও দেশের খ্যাতিমান শিল্পী।


বিবার্তা/ইফতি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com