শিরোনাম
সাপের বিষ : সোনার চেয়েও দামি
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০১৭, ২০:৫১
সাপের বিষ : সোনার চেয়েও দামি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মাদকাসক্তি যাঁদের চরমে পৌঁছেছে, হেরোইন, মারিজুয়ানা বা কোকেনেও যাদের নেশাটা ঠিক জমছে না, তাদের মাদকে এখন মেশানো হচ্ছে সাপের বিষ। তাই আন্ডারওয়ার্ল্ড ফেঁপে উঠছে এই বিষের অবৈধ ব্যবসায়।


শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে, বাজারে সাপের বিষের দাম এখন সোনার চেয়েও বেশি। কেননা কিছু লোকের মাদকাসক্তি এমন স্তরে পৌঁছেছে যে, কোকেন, হেরোইন, মারিজুয়ানা, আফিমেও তাদের নেশাটা ঠিক জমছে না। তাদের আরও কড়া নেশা দরকার। তাই তাদের মাদকে মেশানো হচ্ছে সাপের বিষ। ফলে সাপের বিষের চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে আর ফেঁপে উঠছে মাদক চক্রের অবৈধ ব্যবসা।


এ মুহূর্তে এক লিটার সাপের বিষের বাজার দাম প্রায় চার কোটি টাকা। ভারতে বিষ নিষ্কাশনের জন্য ধরা হয় প্রধানত চার প্রজাতির সাপ – গোখরো, রাসেল ভাইপার, পিট ভাইপার ও শাখামুটে। নিষ্কাশনের পর সেই বিষ চালান করা হয় দেশে ও বিদেশে। কিন্তু চোরাচালানকারীদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তবে একেবারে ধরাও যে পড়ছে না, তাও নয়। প্রায়ই ধরা পড়ছে, কিন্তু তাতে চোরা ব্যবসায় ইতরবিশেষ কিছু হয়নি।


‘পিপলস ফর অ্যানিমেলস' নামে এক এনজিওর কর্মকর্তা সৌরভ গুপ্ত বলেন, সাপের বিষ দিয়ে ওষুধ কম্পানিগুলো তৈরি করে অ্যান্টি-ভেনাম সিরাম। এটা সাপে কাটা মানুষের জীবনদায়ী ওষুধ। তাই সাপের বিষের এই অবৈধ ব্যবসার ফলে ওষুধ কম্পানিগুলো পড়েছে নানা ধরনের সমস্যার মুখে।


কীভাবে মাদকে মেশানো হয় সাপের বিষ? সাপের বিষ নিষ্কাশনের পর প্রথমে তা রাখা হয় খুব কম তাপমাত্রার আধারে। কিছুদিন পর তরল বিষ শুকিয়ে দানা বেঁধে গেলে তা গুঁড়ো করা হয়। তারপর তা মেশানো হয় মদ বা অন্যসব মাদকে। সাধারণত ১০০ লিটার মদে ১০ গ্রাম সাপের বিষের গুঁড়ো মেশানো হয়। সূত্র : ডিডাব্লিউ


বিবার্তা/হুমায়ুন/পলাশ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com