গণমাধ্যম সংস্থা ঘাসফুল-এর অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরাও লড়াই করেছে, আত্মত্যাগ করেছে, আত্মাহূতি দিয়েছে। বর্বর পাকবাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর-রাজাকারদের নির্যাতনের শিকার নারীদেরকেই বেশি হতে হয়েছে। যুদ্ধে নারীরা যেমন যোদ্ধা হিসেবে সাহস ও বিক্রম দেখিয়েছে, একইভাবে মমতাময়ী মা, বোন ও জায়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের লালন করেছে, সেবা-শুশ্রুষা-পরিচর্যা দিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। যুদ্ধে সন্তান হারানোর ব্যথা যেমন তাদেরকে সামলাতে হয়েছে, তেমনি সম্ভ্রম হারানোর ঝুঁকি নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হয়েছে।
ঘাসফুল-এর উদ্যোগে শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী : যোদ্ধা ও জায়া-জননী’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচকরা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রচেষ্টা যেমন চলছিল, তেমনি ইতিহাসের পাতা থেকে নারীদের অবদান অস্বীকার করার প্রবণতাও ছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান গুরুত্বের সাথে স্বীকৃত হচ্ছে।
কবি কাজী রোজী,এমপির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণী ঘোষ ও বুলবুল মহলানবীশ, গোবলা ক্যাম্পে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লায়লা পারভীন বানু এবং সমাজকর্মী ও বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির সহসভানেত্রী বেগম সেলিনা খালেক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বুলবুল মহলানবীশ ও ফৌরদৌস আরা কবিতা মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শিরিনা বিথী। ইবতিদা ফারহাত ত্রপা ও মাহমুদুল হুসাইন রুবেলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি জুনান নাশিত, পারভিন আক্তার, মরিয়ম বেগম, রোকেয়া খাতুন রুবী, শান্তা মারিয়া ও শাহজাদী আঞ্জুমান আরা।
বিবার্তা/হুমায়ুন/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]