শিরোনাম
বিবি ফাউন্ডেশনের ৭ মার্চের আলোচনা সভা
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৭, ২২:১৩
বিবি ফাউন্ডেশনের ৭ মার্চের আলোচনা সভা
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সোমবার বিবি ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দর্শন-উপলব্ধিতেঐতিহাসিক সত্য অনুসন্ধান বিষয়ক শিরোনামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। তিনি বলেন- ৭ মার্চ একদিনে আসেনি। ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতার ফল এটি। সারা বিশ্বই জানত বঙ্গবন্ধু ৭মার্চে স্বাধীনতার ঘোষনা দিবেন। এই ভাষনে ২৩ বছরের শোষনের কথা আছে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বঞ্চিত করার কথা আছে, তেমনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশ কিভাবে চলবে তার দিক নির্দেশনা আছে। বর্তমানে দেশ চলছে ৭মার্চের ভাষনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ৭২ এর সংবিধান বাস্তবায়নের জন্য। অর্থনৈতিক মুক্তি না থাকলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যায়। একমাত্র বঙ্গবন্ধু-ই স্বাধীনতার ঘোষনা করার অধিকার ছিল কারণ তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন এবং তার দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর সাথে খলনায়ককে দাড় করিয়ে দিলে খলনায়কের স্থান হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।


আলোচনা করেন মোঃ রশিদুল আলম। তিনি ৭ই মার্চের ভাষনকে যদি স্বাধীনতার ঘোষনা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে।


অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালী জাতিকে সংঙ্গবদ্ধ করা এবং মিলেমিশে একটি শোষনহীন বহুমাত্রিক দেশ গড়া।


মারুফা আখতার পপি, সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বলেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সকল ক্লাসে বাধ্যতামূলক কারিকুলামের অন্তর্ভূক্ত করা হোক। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষনায় সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করা হোক।


বিবি ফাউন্ডেশন সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন আমাদের জাতীয় চেতনাকে জাগ্রত করে।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব বাহাদুর বেপারী, তিনি বলেন- সেই শৈশব, কৈশোর থেকে জাতীয় রাজনীতি পর্যায়েও ৭ মার্চ লালন করছি কারণ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষন ছিল বাঙ্গালী চেতনার ভাষন, সমগ্র বাঙ্গালী জাতীকে একত্রিত করার ভাষন এবং বাঙ্গলী জাতিকে অন্যায় অবিচার এর বিরুদ্ধে স্বাধিকার রক্ষার ভাষন। এই ৭মার্চের ভাষন স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছে বাঙ্গালী জাতি স্বত্বাকে সমুনড়বত রাখতে। ছাত্র রাজনীতিতে রাজপথে নেমেছি, মার খেয়েছি কিন্তু বাঙ্গালী চেতানা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এখনও লালন করে চলেছি। ৭ মার্চের ভাষন বিশ্লেষন করে দর্শন এবং অনুসন্ধানে এর এই ঐতিহাসিক সত্য আমরা খুজে পাই যে, ঐ ভাষনই ছিল স্বাধীনতার ঘোষনা।


বিবার্তা/আদনান/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com