‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের’ দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়কের দায়িত্ব পেলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

আজ রোববার (১০ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২৪তম সভায় বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে দক্ষিণ এশিয়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ইতালির কেগলিয়ারি শহরে অনুষ্ঠিত সভায় সংস্থাটির সদস্যরা এসময় সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগদান করেন। সভায় ২০২১ সালের কার্যক্রম বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং ২০২২ সালের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।

সভায় অধ্যাপক আলমগীরকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি শাখা খোলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই অঞ্চলে সঠিক ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য নির্ধারণে গবেষণা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকার মতো মেগা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো অস্থায়ী ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ আবাসনের জন্য সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, বর্তমান সময়ের ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ও নিউক্লিয়ার বর্জ্যরে সঠিক ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ প্ল্যাটফর্মের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মচন করবে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গবেষণার দ্বার উন্মোচন করবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক পন্থা বের হয়ে আসবে বলে উদ্ভাবনের মাধ্যেমে বর্জ্যকে সম্পদেও পরিণত করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।

ইউরোপ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল ও উদ্ভাবন করছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে আসছে।

প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করে । প্রতি মাসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর একটি উন্নতমানের জার্নাল প্রকাশ করে। এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ইস্যুতে টাস্ক ফোর্স গঠনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নীতি নির্ধারকদের গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে থাকে।

বিবার্তা/শাহিন