একটা বার্গারের দাম মাত্র পাঁচ হাজার ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যার দাম হবে চার লাখের অধিক। ভাবা যায়! এই টাকা অনেকেই সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে আয় করতে পারেন না। কিন্তু অনেকেই আবার এই দাম দিয়ে কিনে খান একটা বার্গার।

ডাচ শেফ তৈরি করেছেন এই বার্গার। তবে, নিজের বা অন্যকে খাওয়ানোর জন্য এটি তৈরি করেননি। বার্গার থেকে উঠে আসা সমস্ত অর্থ তুলে দেয়া হবে একটি চ্যারিটির হাতে। এই শেফ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হ্যামবার্গারটি তৈরি করেছেন কেবলমাত্র মানুষের পাশে থাকবেন বলে। করোনা পরিস্থিতিতে দুস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবেন বলেই এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই রেসিপিটি তৈরির জন্য তিনি পাঁচ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বলেও জানিয়েছেন।

কী রয়েছে এই বার্গারে?

লক্ষাধিক টাকার এই বার্গারে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু উপকরণ। ওয়াগিয়ু ব্রিসকেট ও ছোট পাঁজরের স্বাদে ভরপুর রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেফ। বার্গারের বানটি তিনি তৈরি করেছেন জাফরান ও ভোজ্য সোনার পাতা দিয়ে। ফিলিংয়ের জন্য রয়েছে বেলুগা ক্যাভিয়ার, সাদা ট্রাফল, পালেটা আইবেরিকো বেলোটা হ্যাম, কিং ক্র্যাব। সঙ্গে রয়েছে ডোম পেরিগন শ্যাম্পেনে ডোবানো রসাল পেঁয়াজের রিং।

এছাড়া রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি কোপি লেওয়াক, ম্যাকালান সিঙ্গল মল্ট হুইস্কি এবং বারবিকিউ সস। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারগুলোর একটি। ভোজনরসিকরা বলেন, এই বার্গার নাকি স্বাদে অভাবনীয়।

বিবার্তা/অনামিকা/আরকে