
'এর ছেলে ভালো', 'ওর মেয়ে অক্সফোর্ড যাচ্ছে', 'পাশের বাড়ির ছেলেটি মোটা টাকা রোজগার করছে', 'বাড়িতে গাড়ি বাড়ি ফ্রিজ কিনেছে', অথবা অন্যের সন্তান কত ভালো পরীক্ষার ফলাফল করছে তাই নিয়ে ক্রমান্বয়ে সন্তানের সঙ্গে তুলনা করে যাচ্ছেন যে সকল অভিভাবকরা তাদের জন্য এই প্রতিবেদন।
যদি এমনটাই করে থাকেন আপনি, তাহলে আপনার সন্তান খুব শীঘ্রই অ্যানজাইটিতে আক্রান্ত হতে চলেছে, এমনটাই দেখা গিয়েছে নতুন সমীক্ষায়। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইতিবাচক কথা বলুন সন্তানকে নিয়ে।
ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স জার্নালে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয় যেখানে বলা হয়েছে, উদ্বেগ, হতাশা এবং স্নায়ুর সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেই সমস্ত ছেলে মেয়ের মধ্যে যাঁরা এই ধরণের তুলোনামূলক সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পরিবারই সেই তুলনা করছে সকাল- রাত। আর তাঁদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের হাল ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৫০০ জনের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়। যাদের বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছর। যার মধ্যে ৪৯ শতাংশ ছিল মহিলা। মনে রাখবেন, দিন বদলে গিয়েছে। নেতিবাচক কথা বলে সন্তানকে জাগিয়ে তোলা যাবে না। তাই সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশুন। এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে যেভাবে ভরসা দেয় স্বার্থ ছাড়া ছোট বেলায়, ঠিক তেমন ভাবেই তাঁর পিঠ চাপড়ান। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনটা খারাপ, কোনটা ভালো সেটা বোঝান। ছোট থেকেই সেই প্রচেষ্টা জারি রাখুন। মনে রাখবেন, অন্য ছেলে-মেয়ের সঙ্গে তুলনা তাঁর মনে যে প্রভাব ফেলছে, সেও সেই পদ্ধতি শিখতে পারে। অথবা নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে পারে। তাই সাবধান হন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লক্ষ্য কী সেটা সন্তানকে বুঝিয়ে দিন। চিনিয়ে দিন। পরবর্তীকালে তাকেই লক্ষ্য স্থির করতে দিন। অনেক সময় অভিভাবকরা তাঁর রাস্তার পাশে বেড়া হয়ে দাঁড়ান। এমনটা অাপনার সন্তানের জন্য কখনোই সুফল বয়ে আনবে না।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
ময়মনসিংহ রোড, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]