শিরোনাম
তাকদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছা
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৩
তাকদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছা
আরিফ আজাদ
প্রিন্ট অ-অ+

ক্লাশের থার্ড পিরিয়ডে মফিজুর রহমান স্যার এসে আমাকে দাঁড় করালেন। বললেন, 'তুমি ভাগ্যে, আই মিন তাকদিরে বিশ্বাস করো?'


আমি বললাম,- 'জ্বি, স্যার। এ্যাজ এ্যা মুসলিম, আমি তাকদিরে বিশ্বাস করি। এটি আমার ঈমানের মূল সাতটি বিষয়ের মধ্যে একটি।'


স্যার বললেন, 'তুমি কি বিশ্বাস করো যে, মানুষ জীবনে যা যা করবে তার সবকিছুই তার জন্মের অনেক অনেক বছর আগে তার তাকদিরে লিখে দেওয়া হয়েছে?'
- 'জ্বি স্যার' - আমি উত্তর দিলাম।
- 'বলা হয়, স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি ক্ষুদ্র পাতাও নড়ে না, তাই না?'
- 'জ্বি স্যার।'
- 'ধরো, আজ সকালে আমি একজন লোককে খুন করলাম। এটা কি আমার তাকদিরে পূর্বনির্ধারিত ছিলো না?'
- 'জ্বি, ছিলো।'
- 'আমার তাকদির যখন লেখা হচ্ছিলো, তখন কি আমি জীবিত ছিলাম?'
- 'না, ছিলেন না।'
- 'আমার তাকদির কে লিখেছে? বা, কার নির্দেশে লিখিত হয়েছে?'
- 'স্রষ্টার।'
- 'তাহলে, সোজা এবং সরল লজিক এটাই বলে, 'আজ সকালে যে খুনটি আমি করেছি, সেটি মূলত আমি করিনি। আমি এখানে একটি রোবটমাত্র। আমার ভেতরে একটি প্রোগ্রাম সেট করে দিয়েছেন স্রষ্টা। সেই প্রোগ্রামে লেখা ছিলো যে, আজ সকালে আমি একজন লোককে খুন করবো। সুতরাং, আমি ঠিক তা-ই করেছি, যা আমার জন্য স্রষ্টা পূর্বে ঠিক করে রেখেছেন। এতে আমার কোন হাত নেই। ডু ইউ এগ্রি,সাজিদ?'
- 'কিছুটা' - আমি উত্তর দিলাম।
স্যার এবার হেসে ফেললেন, 'আমি জানতাম তুমি কিছুটাই একমত হবে,পুরোটা নয়। এখন তুমি আমাকে নিশ্চয়ই যুক্তি দেখিয়ে বলবে, ''স্রষ্টা আমাদের একটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। আমরা এটা দিয়ে ভালো-মন্দ বিচার করে চলি''।রাইট?'
- 'জ্বি স্যার।'
- 'কিন্তু সাজিদ, এটা খুবই লেইম লজিক, ইউ নো? ধরো, আমি তোমার হাতে বাজারের একটি লিস্ট দিলাম। লিস্টে যা যা কিনতে হবে, তার সবকিছু লেখা আছে। এখন তুমি বাজার করে ফিরলে। তুমি ঠিক তাই তাই কিনলে যা আমি লিস্টে লিখে দিয়েছি। এবং তুমি এটা করতে বাধ্য। বুঝতে পারছো?'
বললাম,- 'জ্বি স্যার।'
- 'ভেরি গুড! ধরো, তুমি বাজার করে আসার পর একজন জিজ্ঞেস করলো, সাজিদ কি কি বাজার করেছো? তখন আমি উত্তর দিলাম,- 'ওর যা যা খেতে মন চেয়েছে, তা-ই তা-ই কিনেছে। বল তো, আমি সত্য বলেছি কিনা?'
আমি বললাম,- 'নাহ, আপনি মিথ্যা বলেছেন।'
স্যার চিৎকার করে বলে উঠলেন,- 'এক্সাক্টলি। ইউ হ্যাভ গট দ্য পয়েন্ট, মাই ডিয়ার। আমি মিথ্যা বলেছি। আমি লিস্টে বলেই দিয়েছি তোমাকে কি কি কিনতে হবে। তুমি ঠিক তা-ই তা-ই কিনেছো। যা কিনেছো সব আমার পছন্দের জিনিস। এখন আমি যদি বলি,- 'ওর যা যা খেতে মন চেয়েছে, সে তা-ই তা-ই কিনেছে', তাহলে এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা,না?'
- 'জ্বি,স্যার।'
- 'ঠিক স্রষ্টাও এভাবে অনেক আগে আমাদের তাকদির লিখে তা আমাদের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এখন আমরা সেটাই করি, যা স্রষ্টা সেখানে লিখে রেখেছেন। আবার, এ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, এই কাজের জন্য কেউ জান্নাতে যাচ্ছে, কেউ জাহান্নামে। কিন্তু কেন? এখানে মানুষের তো কোনো হাত নেই। ম্যানুয়ালটা স্রষ্টার তৈরি। আমরা তো জাস্ট পারফর্মার। স্ক্রিপ্ট রাইটার তো স্রষ্টা। কাজেই তিনি এর জন্য আমাদের কাউকে জান্নাত, কাউকে জাহান্নাম দিতে পারেন না। যুক্তি তাই বলে, ঠিক?'
আমি চুপ করে রইলাম। পুরো ক্লাশে পিনপতন নিরবতা।
স্যার বললেন,- 'হ্যাভ ইউ এ্যানি প্রপার লজিক অন দ্যাট টিপিক্যাল কোয়েশ্চান, ডিয়ার?'
আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। স্যার মুচকি হাসলেন। মনে হলো, উনি ধরেই নিয়েছেন যে, উনি আমাকে এবার সত্যি সত্যিই কুপোকাত করে দিয়েছেন।



আমাকে যারা চিনে তারা জানে, আমি কখনো কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় নিই না। আজকে যেহেতু তার ব্যতিক্রম ঘটলো, আমার বন্ধুরা আমার দিকে অবাক চোখে তাকালো। তাদের চাহনি দেখে মনে হচ্ছিলো, এই সাজিদকে তারা চিনেই না। কোনদিন দেখে নি। আর, ক্লাশে আমার বিরুদ্ধমতের যারা আছে, তাদের চেহারা তখন উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করলো। তারা হয়তো মনে মনে বলতে লাগলো,- 'মোল্লার দৌঁড় অই মসজিদ পর্যন্তই। হা হা হা'।


আমি মুখ তুলে স্যারের দিকে তাকালাম। মুচকি হাসিটা স্যারের মুখে তখনও বিরাজমান। আমি বললাম,- 'স্যার, এই ক্লাশে কার সম্পর্কে আপনার কি অভিমত?'
স্যার ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। বললেন,- 'বুঝলাম না।'
- 'মানে, আমাদের ক্লাশের কার মেধা কি রকম, সে বিষয়ে আপনার কি ধারণা?'
- 'ভালো ধারনা। ছাত্রদের সম্পর্কে একজন শিক্ষকেরই তো সবচেয়ে ভালো জ্ঞান থাকে।'
আমি বললাম,- 'স্যার, আপনি বলুন তো, এই ক্লাশের কারা কারা ফার্স্ট ক্লাশ আর কারা কারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে?'
স্যার কিছুটা বিস্মিত হলেন। বললেন,- 'আমি তোমাকে অন্য বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তুমি 'আউট অফ কনটেক্সট' এ গিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করছো, সাজিদ।'
- 'না স্যার, আমি কনটেক্সটেই আছি। আপনি উত্তর দিন।'
স্যার বললেন,- 'এই ক্লাশ থেকে রায়হান, মমতাজ, ফারহানা, সজীব, ওয়ারেশ, ইফতি, সুমন,জাবেদ এবং তুমি ফার্স্ট ক্লাশ পাবে। আর বাকিরা সেকেন্ড ক্লাশ।'
স্যার যাদের নাম বলেছেন, তারা সবাই ক্লাশের ব্রিলিয়্যান্ট ষ্টুডেণ্ট। সুতরাং, স্যারের অনুমান খুব একটা ভুল না। আমি বললাম,- 'স্যার, আপনি এটা লিখে দিতে পারেন?'
'Why not' - বলে তিনি খচখচ করে একটা কাগজের একপাশে যারা ফার্স্ট ক্লাশ পাবে তাদের নাম, অন্যপাশে যারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে, তাদের নাম লিখে আমার হাতে দিলেন। আমি বললাম,- 'স্যার, ধরে নিলাম যে আপনার ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ সত্য হয়েছে। মানে, আপনি ফার্স্ট ক্লাশ পাবে বলে যাদের নাম লিখেছেন, তারা সবাই ফার্স্ট ক্লাশ পেয়েছে, আর যারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে লিখেছেন, তাদের সবাই সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে।'
- 'হুম, তো?'
- 'এখন, স্যার বলুন তো, যারা ফার্স্ট ক্লাশ পেয়েছে, আপনি এই কাগজে তাদের নাম লিখেছেন বলেই কি তারা ফার্স্ট ক্লাশ পেয়েছে?'
- 'নাহ তো।'
- 'যারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে, তারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে বলে আপনি এই কাগজে লিখেছেন বলেই কি তারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে?'
স্যার বললেন,- 'একদম না।'
- 'তাহলে মূল ব্যাপারটি কি স্যার?'
স্যার বললেন,- 'মূল ব্যাপার হলো, আমি তোমাদের শিক্ষক। আমি খুব ভালো জানি পড়াশুনায় তোমাদের কে কেমন। আমি খুব ভালো করেই জানি, কার কেমন মেধা। সুতরাং, আমি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারি কে কেমন রেজাল্ট করবে।'
আমি হাসলাম। বললাম,- 'স্যার, যারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে, তারা যদি আপনাকে দোষ দেয়? যদি বলে, আপনি 'সেকেন্ড ক্লাশ' ক্যাটাগরিতে তাদের নাম লিখেছেন বলেই তারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে?'
স্যার কপালের ভাঁজ লম্বা ফেলে বললেন,- 'ইট উড বি টোট্যালি বুলশিট! আমি কেন এর জন্য দায়ী হবো? এটা তো সম্পূর্ণ তাদের দায়। আমি শুধু তাদের মেধা,যোগ্যতা সম্পর্কে ধারনা রাখি বলেই অগ্রিম বলে দিতে পেরেছি যে কে কেমন রেজাল্ট করবে।'



আমি আবার জোরে জোরে হাসতে লাগলাম। পুরো ক্লাশ আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম, 'স্যার, তাকদির তথা ভাগ্যটাও ঠিক এরকম। আপনি যেমন আমাদের মেধা, যোগ্যতা, ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, স্রষ্টাও তেমনি তার সৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। আপনার ধারণা মাঝে মাঝে ভুল হতে পারে, কিন্তু স্রষ্টার ধারণায় কোনো ভুল নেই। স্রষ্টা হলেন আলিমুল গায়েব। তিনি ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব জানেন। আপনি যেরকম আমাদের সম্পর্কে পূর্বানুমান করে লিখে দিয়েছেন যে, আমাদের মধ্যে কারা কারা ফার্স্ট ক্লাশ পাবে, আর কারা সেকেন্ড ক্লাশ। এর মানে কিন্তু এই না যে, আপনি বলেছেন বলে আমাদের কেউ ফার্স্ট ক্লাশ পাচ্ছি, কেউ সেকেন্ড ক্লাশ। স্রষ্টাও সেরকম পূর্বানুমান করে আমাদের তাকদির লিখে রেখেছেন। তাতে লেখা আছে দুনিয়ায় আমরা কে কি করবো। এর মানেও কিন্তু এই না যে, তিনি লিখে দিয়েছেন বলেই আমরা কাজগুলো করছি। বরং, এর মানে হলো এই - তিনি জানেন যে, আমরা দুনিয়ায় এই এই কাজগুলো করবো। তাই তিনি তা অগ্রিম লিখে রেখেছেন তাকদির হিসেবে। আমাদের মধ্যে কেউ ফার্স্ট ক্লাশ আর কেউ সেকেন্ড ক্লাশ পাবার জন্য যেমন কোনোভাবেই আপনি দায়ী নন, ঠিক সেভাবে মানুষের মধ্যে কেউ ভালো কাজ করে জান্নাতে, আর কেউ খারাপ কাজ করে জাহান্নামে যাবার জন্যও স্রষ্টা দায়ী নন। স্রষ্টা জানেন যে, আপনি আজ সকালে একজনকে খুন করবেন। তাই তিনি সেটা আগেই আপনার তাকদিরে লিখে রেখেছেন। এটার মানে এই না যে, স্রষ্টা লিখে রেখেছে বলেই আপনি খুনটি করেছেন। এর মানে হলো স্রষ্টা জানেন যে আপনি আজ খুনটি করবেন। তাই সেটা অগ্রিম লিখে রেখেছেন আপনার তাকদির হিসেবে। স্যার, ব্যাপারটা কি এখন পরিষ্কার?



স্যারের চেহারাটা কিছুটা ফ্যাকাশে মনে হলো। তিনি বললেন, 'হুম।'
এরপর স্যার কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। তারপর বললেন, 'আমি শুনেছিলাম তুমি ক'দিন আগেও নাস্তিক ছিলে। তুমি আবার আস্তিক হলে কবে?'
আমি হা হা হা করে হাসলাম। বললাম, 'এই প্রশ্নটা কিন্তু স্যার আউট অফ কনটেক্সট।'
এটা শুনে পুরো ক্লাশ হাসিতে ফেটে পড়লো।


পিরিয়ডের একদম শেষদিকে, স্যার আবার আমাকে দাঁড় করালেন। বললেন, 'বুঝলাম স্রষ্টা আগে থেকে জানেন বলেই লিখে রেখেছেন। তিনি যেহেতু আগে থেকেই জানেন কে ভালো কাজ করবে আর কে খারাপ কাজ করবে, তাহলে পরীক্ষা নেয়ার কি দরকার? যারা জান্নাতে যাওয়ার তাদের জান্নাতে, যারা জাহান্নামে যাওয়ার তাদের জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেই তো হতো, তাই না?'


আমি আবার হাসলাম। আমার হাতে স্যারের লিখে দেয়া কাগজটি তখনও ধরা ছিলো। আমি সেটা স্যারকে দেখিয়ে বললাম, 'স্যার, এই কাগজে কারা কারা ফার্স্ট ক্লাশ পাবে, আর কারা কারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে, তাদের নাম লেখা আছে। তাহলে এই কাগজটির ভিত্তিতেই রেজাল্ট দিয়ে দিন। বাড়তি করে পরীক্ষা নিচ্ছেন কেনো?'


স্যার বললেন,- 'পরীক্ষা না নিলে কেউ হয়তো এই বলে অভিযোগ করতে পারে যে,- 'স্যার আমাকে ইচ্ছা করেই সেকেন্ড ক্লাশ দিয়েছে। পরীক্ষা দিলে আমি হয়তো ঠিকই ফার্স্ট ক্লাশ পেতাম।'


আমি বললাম,- 'একদম তাই,স্যার। স্রষ্টাও এইজন্য পরীক্ষা নিচ্ছেন, যাতে কেউ বলতে না পারে- দুনিয়ায় পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে আমি অবশ্যই আজকে জান্নাতে থাকতাম। স্রষ্টা ইচ্ছা করেই আমাকে জাহান্নামে পাঠিয়েছে।'


ক্লাশের সবাই হাততালি দিতে শুরু করলো। স্যার বললেন,- 'সাজিদ, আই হ্যাভ এ্যা লাস্ট কোয়েশ্চান।'
- 'ডেফিনেইটলি, স্যার।'- আমি বললাম।
- 'আচ্ছা, যে মানুষ পুরো জীবনে খারাপ কাজ বেশি করে,সে অন্তত কিছু না কিছু ভালো কাজ তো করে,তাই না?'
- 'জ্বি স্যার।'
- 'তাহলে, এই ভালো কাজগুলোর জন্য হলেও তো তার জান্নাতে যাওয়া দরকার,তাই না?'


আমি বললাম,- 'স্যার, পানি কিভাবে তৈরি হয়?'
স্যার আবার অবাক হলেন। হয়তো বলতে যাচ্ছিলেন যে, এই প্রশ্নটাও আউট অফ কনটেক্সট, কিন্তু কি ভেবে যেন চুপসে গেলেন। বললেন, 'দুই ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেনের সংমিশ্রণে।'
আমি বললাম,- 'আপনি এক ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেন দিয়ে পানি তৈরি করতে পারবেন?'
- 'কখনোই না।'
- 'ঠিক সেভাবে এক ভাগ ভালো কাজ আর এক ভাগ মন্দ কাজে জান্নাত পাওয়া যায় না। জান্নাত পেতে হলে হয় তিন ভাগই ভালো কাজ হতে হবে, নতুবা দুই ভাগ ভালো কাজ, এক ভাগ মন্দ কাজ হতে হবে। অর্থাৎ, ভালো কাজের পাল্লা ভারি হওয়া আবশ্যক।'


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com