বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট)। দিবসটি উপলক্ষে এক বাণী দিয়েছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আশা করি তার জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহীয়সী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতার একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা। তিনি আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রয়াই কারাগারে বন্দী থাকতেন। এ দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে এজদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তনদের লালন পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও প্রেরণাশক্তি যুগিয়ে স্বাধীনতা মুক্তিরর সংগ্রামকে সঠিক লক্ষে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
৬-দফা ও ১১ দফা আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দী থেকে এবং পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী স্বামীর জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশেরর ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশ ও জাতির জন্য তার অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাকে যথার্থই বঙ্গমাতা উপাধিতে ভূষিত করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে তিনিও সপরিবারে নিহত হন। যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আত্মার মাগফিরাতও কামনা করেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]