শিরোনাম
অশোভন মন্তব্য করলে এনজিও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৬, ২২:২০
অশোভন মন্তব্য করলে এনজিও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেছাসেবকমূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৬’ পাস হয়েছে। পাসকৃত বিলে কোনো এনজিও বা এনজিও কর্মকর্তা সংবিধান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে অশোভন মন্তব্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।


বুধবার ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে চলা সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী


বিলটি নিয়ে আলোচনাকালে বিলের বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। কিন্তু তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। একইভাবে তাদের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হওয়ার পর কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।


বিলের বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে একটি এনজিও ১০ বছরের জন্য নিবন্ধন পাবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে এই নিবন্ধন নিতে হবে। আইন অমান্য করলে যে কোনো সময় ওই নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা যাবে। এনজিওতে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে। বিদেশি অনুদান একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (মাদার অ্যাকাউন্ট) থাকতে হবে। ব্যয়ের হিসাব অডিট করার পর এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে দিতে হবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। আইন না মানলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। নিবন্ধন বাতিল ও জরিমানার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।


বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এ আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তালিকাভুক্ত কিংবা নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা সংগঠন বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না।


প্রসঙ্গত, এনজিও কার্যক্রম বর্তমানে পরিচালিত হয় ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের দুটি অধ্যাদেশ দিয়ে। সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ দু’টি একত্রিত করে নতুন আইন করতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি উত্থাপনের পর থেকেই এই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানায় বেসরকারি সংস্থাগুলো। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি।


গত ১৮ মে কমিটির বৈঠকে বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ২৬ জুলাই সংসদ অধিবেশনে ওই প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়।


ক্যাডেট কলেজ বিল উত্থাপন


ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন রহিতপূর্বক কতিপয় সংশোধনীসহ নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘ক্যাডেট কলেজ আইন-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।


বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


বিবার্তা/রাসেল/রয়েল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com