শিরোনাম
বিশেষ নৌকার নকশা দিলেন প্রধানমন্ত্রীকন্যা পুতুল
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৯, ১২:৫৪
বিশেষ নৌকার নকশা দিলেন প্রধানমন্ত্রীকন্যা পুতুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বন্যার্ত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বিশেষ একটি নৌকার ডিজাইন দিয়েছেন। তার এমন প্রস্তাব সামনে রেখে প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এ নৌকায় ঘরবাড়িও সরিয়ে নেয়া যাবে। ইঞ্জিনচালিত এ নৌকা আকার হবে বেশ বড়।


মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা হোসেন আমাদের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, একটি ডিজাইন দিয়েছেন, এস্টিমেট দিয়েছেন নৌকাপ্রতি১০ লাখ টাকা করে। যে নৌকায় বন্যাকবলিত জনগণ তাদের মালামাল, এমনকি ঘর পর্যন্ত অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে পারবেন। আমরা সেটার প্রকল্প গ্রহণ করছি।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, বন্যাপ্রবণ ৩৫ জেলায় এ নৌকা সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি জেলায় একটি করে দেওয়া হবে। এ নৌকা দিয়ে বন্যার সময় চর এলাকা থেকে মানুষ ও তাদের ঘরসহ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। নৌকার পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত এ নৌকায় অনেক মানুষ ধরবে। নৌকার আকার অনেক বড় হবে।


ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গৃহহীনদের জন্য যে দুর্যোগ সহনীয় ঘরের কার্যক্রম শুরু করেছি, প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৬০৪টি ঘর নির্মাণ শুরু করেছি। সেখানে তাদের (ডিসি) প্রস্তাবনা ছিল ঘরের স্পেসিফিকেশন, ডিজাইন আরেকটু উন্নত করা এবং বাজেট বাড়ানো দরকার। আমরা গত অর্থবছরে বাজেট দিয়েছিলাম দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এবার বাজেট দিয়েছি তিন লাখ টাকা। এ অর্থবছরে ২৩ হাজার ঘর করার জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছি।’


বজ্রপাতে প্রতিদিনই মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, বিষয়টি ডিসিরা গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। বজ্রপাতে মৃত্যু প্রতিরোধের জন্য বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার বসানোর জন্য তারা প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের প্রস্তাবের আগেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কর্মশালাও করেছি। এখন পর্যন্ত প্রতি বজ্রপাত নিরোধকের মূল্য পেয়েছি সর্বনিম্ন প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা। সেটা অনেক বড় বাজেটের ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করছি আরও কম মূল্যে পাওয়ার। পাওয়া গেলে যেখানে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি, সেখানে আমরা বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার বসাব।


চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত ২০টি জেলা আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে ১০টি ছিল। দুদিন পর ১৫ এবং ১৪ জুলাই পর্যন্ত ২০টি জেলা কবলিত হয়েছে। প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড লেবেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে। প্রত্যেক কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি দুর্যোগ মোকাবিলায় সাধ্য মোতাবেক কাজ করতে।


তিনি জানান, বন্যাকবলিত প্রত্যেক জেলায় এখন পর্যন্ত ৭০০ টন চাল, ১১ আইটেমের চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। প্রথমে দুই কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সোমবার আরো ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।


এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com