শিরোনাম
দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও দুধে মিললো অ্যান্টিবায়োটিক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৪:০০
দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও দুধে মিললো অ্যান্টিবায়োটিক
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় দুধের নতুন ১০টি নমুনার ১০টিতেই অ্যান্টিবায়োটিক মিলেছে। এর আগে প্রথম দফার পরীক্ষায় তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়।


দ্বিতীয় দফার গবেষণা শেষে এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্স সেন্টারের সাবেক পরিচালক আ ব ম ফারুক।


শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো তার প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপার্ট পেশকালে উপস্থিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম- পাস্তুরিত এবং অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক উপস্থিতি শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা- যেমন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরি যেন এখন থেকে নিয়মিতভাবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।


বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস, বিডিএস ১৭০২.২০০২) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সাথে কমপক্ষে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দুটি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এ স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।


আমরা আরো জানিয়েছিলাম, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থে এ পরীক্ষাটি মাঝে-মধ্যে করার চেষ্টা করে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত সপ্তাহে আমরা এ পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারো পূর্বোক্ত পাঁচটি কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত তিনটি নমুনা, অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। যা আবার সব নমুনাতেই শনাক্ত করা গেছে।


অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল চারটি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, অ্যানরোসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোক্সাসিন)। এর মধ্যে আগেরবারে ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দুটি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও অ্যানরোসিন)। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি, ছয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং একটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দুটি।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আমরা ভবিষ্যতেও এ পরীক্ষাসহ অন্য পরীক্ষাগুলোর ফল জনস্বার্থে প্রকাশের চেষ্টা করব। আমরা আশা করি, আমাদের প্রকাশিত এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।


সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে। উপরন্তু জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এ সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।


বিবার্তা/রাসেল/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com