শিরোনাম
দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে বিল পাস
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩৯
দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে বিল পাস
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য বিদ্যমান আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০১৯ সংসদে পাস করা হয়েছে।


এতে আইনটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। আইনটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে।


বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১ এর উপধারা (২) এ উল্লেখিত ‘১৭ বছর’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘২২ বছর’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।


দেড় দশক আগে বিএনপি আমলে আইনটি প্রণয়নের সময় বিরোধিতা ছিল যাদের, সেই আওয়ামী লীগই আইনটির মেয়াদ আরো বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সেই বিএনপি এবার আইনটি পাসের সময় আপত্তি দিয়েছে।


২০০২ সালে যখন দ্রুত বিচার আইন প্রথম সংসদে পাস হয়, সে সময় এ আইনের মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে ছয়বারে এর মেয়াদ বাড়ানো হয় মোট ১৫ বছর। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এর মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়, যা ৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে। বিলটি পাস হওয়ায় এখন আইনটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।


আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।


এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে। দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরো ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।


আইনটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এ আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিধান করা হয়েছে। বিলে উল্লেখিত মেয়াদ চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার বিধান করা হয়েছে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল মঙ্গলবার ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) বিল- ২০১৯’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। তা কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার আগে বিলের উপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।


২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তখন বিলটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।


জাতীয পার্টির ফখরুল ইমাম, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, রুমিন ফারহানা ও গণফোরামের মোকাব্বির খান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com