শিরোনাম
পুঁজিবাজার চাঙা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৩:০৫
পুঁজিবাজার চাঙা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুঁজিবাজার চাঙা করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যা চাঙা পুঁজিবাজারের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।


তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে মাথাপিছু আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।


রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার আয়োজিত‘ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোটেকশন’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক সেমিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।


শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মূল হলো শিল্পায়ন এবং এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ মূলধনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। সরকার বিশ্বাস করে যে পুঁজিবাজার সাধারণ জনগণের সাথে অংশীদারিত্ব তৈরির মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


তিনি বলেন, যত বেশি মানুষ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত হবে তত বেশি এটি আমাদের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে, যা বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক চাহিদা পূরণ করবে।


তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্তর থেকে দুর্নীতি নির্মূলে জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার আরো লোকবল নিয়োগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। যতবেশি মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে, ততবেশি শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।


ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমাতে বিএসইসি দেশব্যাপী বিনিয়োগ বিষয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বিভাগ পর্যায়ে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তা জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।


তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের মূল চালিকাশক্তি। তারা যদি তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা একদিকে বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাসে সাহায্য করবে এবং অন্যদিকে স্থিতিশীল বাজার নিশ্চিতে সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করবে।


লোভে পড়ে সব টাকা বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, যতটুকু লাভ পাওয়া গেলে, আরো বেশি পাওয়ার লোভে সবটুকু খরচ করে ফেলে শেষে শূন্য হয়ে যেতে হয়। সেটি যেন না হয়। এজন্য যাই উপার্জন করুন, কিছু হাতে রেখে জমা রাখবেন, কিছু খরচ করবেন। তাহলে আমার মনে হয় আপনাদের আয় স্থিতিশীল থাকবে।


শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিষ্ঠান। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ নিয়েছে। গ্রামের মানুষ পর্যন্ত আজ অনলাইনে কেনাকাটা করছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কমে আসছে।


তিনি বলেন, আগামী ’৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ। ২০২৩-২৪ সালে জিডিপি দুই অঙ্কে পৌঁছাবে। অল্পদিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না।


সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এ ১০০টি শিল্পাঞ্চলে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এক কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন পণ্যের রফতানিও বাড়বে।


তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি। তখন আমরা থাকবো না। তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পায়। বিশ্বের বুকে তারা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। সেই পরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছি।


অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।


৮ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এ কনফারেন্সে জাপান, নেপাল, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ নয় দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com