শিরোনাম
ভুল করে পাসপোর্ট ফেলে যান পাইলট ফজল
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৯, ১২:৫৭
ভুল করে পাসপোর্ট ফেলে যান পাইলট ফজল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যাওয়ার সময় ভুল করেই পাসপোর্ট বলাকার অফিসে ফেলে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।


সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম। রবিবার এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।


অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা ভবনে তার অফিসে রেখে যান। তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে কথা বলে এবং এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে, তিনি আসলে ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে যান।


তিনি জানান, তদন্তে নিয়োজিত চার সদস্যের কমিটি বাড়িয়ে ছয় সদস্যের করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তাকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্য তিন সদস্য ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বহিরাগমন-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।


তিনি আরো জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই তদন্ত কমিটিকে প্রথমে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। পরে কমিটি আরো তিন কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়। সেই ছয় কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে কমিটি প্রতিবেদন তুলে দিয়েছে।


এদিকে একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তারাও সময় বাড়িয়েছে। কমিটির সভাপতি সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক, সদস্য সচিব যুগ্ম সচিব (বহিরাগমন-৪) হেলাল মাহমুদ শরীফ, সদস্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।


উল্লেখ্য, গত ৬ জুন ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেয়া হয়। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। ফজল মাহমুদের পরিবর্তে বিমানের অন্য পাইলটকে পাঠানো হয়।


বিবার্তা/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com