আজ ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে এইদিন মহান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তানী পাক হানাদার বাহিনী। ৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার পরিচালনায় অধ্যক্ষ এসএম নাজমুল হুদা সালেক রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী আক্রমণের ফলে হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে দুজন রাজাকার নিহত হয়।
আরিফুর রহমান খান মুকুল নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা (বিএলএফ) আহত হন। ওইদিন ভোররাতে কলাপাড়া থানা মুক্তিদ্ধোদের করায়ত্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। পরে পাঁচ হানাদারকে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটি সাগর পাড়ের জনসাধারণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক দিন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার ওই সম্মুখযুদ্ধে আটজন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। তারা হলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের তানডুয়া ক্যান্টনমেরন্ট ট্রেনিংপ্রাপ্ত বিএলএফের (মুজিববাহিনী) হাবিবুল্লাহ রানা, এসএম নাজমুল হুদা সালেক, মো. রেজাউল করিম বিশ্বাস, শাহ আলম তালুকদার, সাজ্জাদুল ইসলাম বিশ্বাস ও আরিফুর রহমান খান মুকুল এবং সোনাবাহিনীর (এফএফ) আহম্মদ আলী ও আশরাফ আলী। বাকীরা পটুয়াখালী অন্য থানা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা। অন্য মুক্তিযোদ্ধদের সঙ্গে এফএফ কমান্ডার নূরুল হুদা ও ডেপুটি কমান্ডার হাবিবুর রহমান শওকত কলাপাড়ার যুদ্ধে অংশ নেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সাংবাদিক হাবিবুলল্লাহ রানা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার আন্ধার মানিক নদীতে অবস্থানরত ভাট্টি নামের একটি জাহাজেও আক্রমন চালায়। এসময় রাজাকার ও পুলিশ থানা থেকে একে একে পালিয়ে যায়। পরের দিন মুক্তিযোদ্ধরা অস্ত্রশস্ত্রসহ ভাট্টি জাহাজ নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এ দিনটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কলাপাড়া উপজেলা কমান্ডার আজ ৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) মুক্তিযোদ্ধা এসএম নাজমুল হুদা জানিয়েছেন।
বিবার্তা/উত্তম/জেমি/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]