পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই সড়ক, নৌ ও রেলপথে পরিবার-পরিজন নিয়ে ফিরছেন তারা।
রবিবার থেকে অফিস-আদালত শুরু হবে। তাই পরিবার নিয়ে শনিবার থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করছেন কর্মজীবীরা।
তবে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়া লোকজন ফিরছে ধীরে ধীরে। এক সপ্তাহের আগে স্বাভাবিক চাঞ্চল্য ফিরবে না রাজধানীতে।
শনিবার সকালে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে অনেক মানুষকে ফিরতে দেখা গেছে। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, সদরঘাটে ক্রমেই চাপ বাড়ছে যাত্রীদের।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে যতদিন যাত্রীর চাপ থাকবে ততোদিন পর্যন্ত ট্রেনের বিশেষ সেবা চলবে বলে জানিয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
রেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগে মানুষকে নিরাপদে যেভাবে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি, সেভাবেই নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদের আগে যেসব বিশেষ ট্রেন চলাচল করেছে, সেগুলো এখনো চলছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪টি রুটে ৯০-৯৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।
ঈদের আগে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হলেও ফিরতি যাত্রায় এখনো কোনো ভোগান্তির চিত্র চোখে পড়েনি। অনেকটা আরামেই ঢাকা ফিরছেন ঈদযাত্রীর।
তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরতে টাঙ্গাইল থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কিছুটা বেগ পোহাতে হয়েছে ঢাকামুখী মানুষকে।
এদিকে ঈদের চতুর্থ দিনেও কিছু মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যেতে ভিড় করেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে। ঈদের সময় কাজেরও চাপ ছিল, তাছাড়া হাজার হাজার মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে টিকিট পাওয়াও কষ্ট। ঝামেলা এড়াতে ঈদের পরে বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান স্টেশনের যাত্রীরা।
এক যাত্রী বলেন, ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে এসে প্রচণ্ড ভিড় দেখে ফিরে যাই। তাই বাড়িতে যেতে পারিনি। ঈদের পরে বাড়ি যাওয়ার অন্য রকম আনন্দ আছে।
বিবার্তা/তাওহীদ/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]