স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১ জুলাই থেকে ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হবে।
এছাড়া জার্মানি বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট তৈরি করায় নাগরিকদের তথ্য চুরির যে অভিযোগ উঠেছে তা অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার পাসপোর্ট অধিদফতর আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব প্রস্তুতি রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, চলতি বছরের জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হবে। সবাই অপেক্ষা করেন। প্রথমবার জার্মানির একটি কোম্পানি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে। এরপর থেকে বাংলাদেশেই হবে।
জার্মানির কোম্পানি পাসপোর্ট তৈরি করবে, এতে তথ্যচুরির শঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। এরকম কোনো শঙ্কা নেই। যারা এরকম আশঙ্কা করে তারা অবান্তর চিন্তা থেকে এই ধারণা করেন।
১৬ মে ই-পাসপোর্টের কারিগরি সহায়তা কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ জার্মানির প্রতিনিধি এবং ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান। সেখানেই মূলত আগামী জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি প্রবর্তনের পর এক দশকও পার হয়নি। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট করার ঘটনা দেখে সরকার ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গত বছর জুলাইয়ে জার্মানির কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর। সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করবে তারা।
ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে। গত বছর ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায়।
সরকার মনে করছে, ই-পাসপোর্ট হলে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য শরণার্থী বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে না।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]