শিরোনাম
দেশের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থান ‘অনিয়মিত’
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:২৫
দেশের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থান ‘অনিয়মিত’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বাংলাদেশে দুই-তৃতীয়াংশ মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থানই অনিয়মিত। একই অবস্থা ভারতেও। মালি ও জিম্বাবুয়ের তিনজনের মধ্যে একজনের কর্মসংস্থান অনিয়মিত। অস্ট্রেলিয়ায় চারজনের মধ্যে একজনের কর্মসংস্থান অনিয়মিত।


অন্যদিকে শিল্পোন্নত দেশে খণ্ডকালীন কাজের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা এখন শ্রমিকদের সঙ্গে ‘খুব অল্প সময়’ অথবা ‘অন-কল’ চুক্তির দিকে ঝুঁকছেন।


উল্লেখ্য, অন-কল হচ্ছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যখন ফোন করবে, তখনই কেবল কাজ মিলবে। অনেক সময় প্রতিষ্ঠানগুলো শূন্য ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা কাজেরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। গত বছরের শেষের দিকে ব্রিটেনের আড়াই শতাংশ শ্রমিক শূন্য ঘণ্টার চুক্তিতে ছিলেন। দেশটির শ্রমবাজারের প্রায় ১০ শতাংশ অনিয়মিত এবং অন-কল কাজে চুক্তিবদ্ধ।


গত মাসে আইএলও প্রকাশিত বিশ্বব্যাপী মানহীন বা নন স্ট্যান্ডার্ড কর্মসংস্থান সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ১৫০টির বেশি দেশের নিবন্ধিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গড়ে ১১ শতাংশ কর্মসংস্থান অস্থায়ী। জর্ডান, লাটভিয়া, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনে অস্থায়ী কর্মসংস্থান ৫ শতাংশের কম। তবে মঙ্গোলিয়া, পেরু ও স্পেনে কর্মসংস্থানের এই হার ২৫ শতাংশের ওপরে।


এদিকে বিশ্বব্যাপী মোট মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থানে নারীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের কম। তবে মোট পার্টটাইম বা খণ্ডকালীন কাজের ৫৭ শতাংশই করছেন নারীরা। আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডসে ২৫ শতাংশ নারীর কর্মসংস্থানই খণ্ডকালীন।


গত ১০০ বছরে বিশ্বে সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত রূপান্তরের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। কাজের ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়েছে, যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। শ্রমিকেরা এখনো কর্মক্ষেত্রে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।



আবার গত কয়েক দশকে উন্নয়নশীল ও শিল্পোন্নত দেশ মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের চেয়ে মানহীন বা নন স্ট্যান্ডার্ড কর্মসংস্থানের দিকে যাচ্ছে। এর ফলে মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থানে অনিয়মিত, খণ্ডকালীন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ বাড়ছে। এ জন্য শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনও কমছে। আইএলওর প্রতিবেদনটিতে এ বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্থায়ী, অনিয়মিত, খণ্ডকালীন, অন-কলের, জিরো আওয়ারের মতো মানহীন কর্মসংস্থানের কারণে শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তারা অন্যদের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কম মজুরি পান। এই শ্রমিকদের দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প মেয়াদে উপকৃত হয়, তবে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


বিবার্তা/জিয়া/কাফী


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com