শিশু জায়ান চৌধুরীকে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। বনানী করবস্থান প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে একটু বাম দিকে জায়ান চৌধুরীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

জায়ানের জানাজায় তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী অংশ নেন।

এর আগে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর দেড়টার দিকে জায়ানের মরদেহ শেখ সেলিমের বাসায় আনা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জায়ানের মরদেহ দেখতে মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক এবং আত্মীয়-স্বজনরাও ভিড় করেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শেখ সেলিমের বাসায় জায়ানকে শেষবারের জন্য দেখতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জামেল হক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

রবিবার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় রেস্তোরাঁয় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় জায়ান। সন্ত্রাসবাদের শিকার হয় ছোট্ট শিশুটি। আর এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। বাবাকে আইসিইউতে রেখে লাশ হয়ে ফিরল জায়ান। ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না মশিউল। আট বছর বয়সী জায়ান রাজধানীর সানবিম স্কুলের ছাত্র ছিল।

গত রবিবার শ্রীলংকায় ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক। এ ঘটনায় জায়ান চৌধুরী নিহত এবং তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স গুরুতর আহত হন।

বিবার্তা/আকবর