শিরোনাম
অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০৪
অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবং রাজধানীতে বেশ কয়েকটি অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নি দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী এসব ‘অনুশাসন’ দেন। এছাড়া ২৮ মার্চ বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জনের প্রাণহানি ও ১৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ।


সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।


অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসনগুলো হলো-


১. ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে এবং অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর পরামর্শগুলো মানা হচ্ছে কিনা সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।


২. ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক সব ভবনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।


৩. বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করতে হবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।


৪. বিভিন্ন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।


৫. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আগুনে পোড়ার চেয়ে ধোঁয়ার কারণেই বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।


৬. রাজধানীতে প্রায়ই পানির অভাবে আগুন ঠিকমতো নেভানো যায় না। এজন্যই আগুনের কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে পর্যাপ্ত জলাশয় ও জলাধার তৈরি করতে হবে।


৭. রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।


৮. অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩ তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী লেডার/লম্বা সিঁড়ি তিনটি আছে ফায়ার সার্ভিসের। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।


৯. বাসাবাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে হবে চারপাশে দরজা-জানালাসহ এবং শত ভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করতে হবে।


১০. বৈদ্যুতিক দরজা পরিত্যাগ করে অন্য দরজা লাগাতে হবে যাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বা দুর্ঘটনার সময় তা খোলা যায়।


১১. ভবনের চারপাশে জাল লাগানো সিস্টেম থাকতে হবে। কেউ যাতে ওপর থেকে পড়ে মারা না যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা রাখতে হবে।


১২. হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে যেন কোনো দুর্ঘটনার সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।


১৩. ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করে। এরকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না। মানুষ যেন অবাধে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।


১৪. দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সেজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।


১৫. যে কোনো ভবনে আশা-যাওয়ার জন্য একাধিক দরজা রাখতে হবে। ভবনে প্রবেশের একটা দরজার সিস্টেম পরিহার করতে হবে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে গণপূর্তমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৪টি টিম রাজধানীর প্রতিটি ভবন পরিদর্শন করবে।


ভবনগুলোতে অগ্নিদুর্গটনা এড়াতে নিরাপত্তামূলক পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কিনা তা তারা দেখবে। তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেবে।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com