শিরোনাম
নারীর প্রতি সহমর্মিতা নয়, প্রয়োজন সহযোগিতা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০১৯, ০০:২০
নারীর প্রতি সহমর্মিতা নয়, প্রয়োজন সহযোগিতা
শাহনাজ শারমিন
প্রিন্ট অ-অ+

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’’। বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসটি পালন করা হয়।


মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নারীকে প্রকৃতির অপরিহার্য অঙ্গ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। নারী কেবলমাত্র একটি সত্ত্বার নাম নয় বরং সে একটি চালিকা শক্তি যাকে ছাড়া পৃথিবী স্তব্ধ-স্থবির। সভ্যতা বিনির্মাণে যুগে যুগে পুরুষের পাশাপাশি নারীও অবদান রেখে এসেছে সমানাংশে। প্রত্যেক যুগেই নারী তার মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, শ্রম এবং মমতার সংমিশ্রণে গড়ে তুলেছে ভবিষ্যতের বুনিয়াদ, জন্ম দিয়েছে নতুন ইতিহাসের। জাতি গঠনের ক্ষেত্রেও নারীর অবদান এককভাবে স্বীকৃত।


একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সমাজ কিংবা একটি দেশ সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও সমন্বয় ছাড়া শান্তি-সমৃদ্ধি এবং সম্প্রীতির পথে এগুতে পারে না। কারণ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে পুরুষের সমান আবার কোথাও কোথাও একটু বেশি সংখ্যকই রয়েছেন নারী। কাজেই এ বিপুলসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ, সমন্বয়, সহযোগিতা ছাড়া পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান, এমনকি দেশ সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না।


সভ্যতার ক্রম বিকাশের ধারার সাথে তাল মিলিয়ে আজ এই রোবটিক্স যুগ পর্যন্ত সমাজের বিবর্তন, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য এক কথায় নারীর সার্বজনীন উপস্থিতিই প্রমাণ করে। নারী- তুমিই সার্থক কারিগর, তুমিই অনুপ্রেরণা, তুমিই রহস্যের অপার বিস্ময়। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী, সেখানে নারীকে পেছনে ফেলে বিশ্বের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নারীর গুরুত্ব অনুধাবন করে ‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন-


‘আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’


বিশ্বের নানা প্রান্তে নারীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আয়োজিত এই দিবসটি আমাদের দেশেও সমান মাহাত্ম্য নির্দেশ করে। তবে শুধুমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, দিনটির সঠিক মাহাত্ম্য অন্তর্নিহিত থাকে একটি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর সামগ্রিক অবস্থার ওপর।


নারীরা এখন শুধু রেঁধে কিংবা চুল বেঁধেই তাদের দিন অতিবাহিত করেন না। এখন তারা সবখানেই নিজের জায়গা করে নিচ্ছেন নিজ নিজ যোগ্যতা, মেধা, বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। আমাদের দেশের নারীদের সরব অবস্থান এখন কেবল পরিবারেই সীমাবদ্ধ নেই, সমাজের বিভিন্ন স্তর-প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার, ভিডিপি, বিজিবি, বিমান পরিচালনা, ট্রেন পরিচালনা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, শিক্ষকতা, নার্সিং, রাজনীতি- সর্বত্র নারীর বিচরণ রয়েছে।


আগে যেকোনো নাগরিকের পরিচয় ছিল বাবার নামে। এখন আইন করে বাবা এবং মা উভয়ের নামের পরিচয়ে আমরা পরিচিত।


নারীর অবদান ছাড়া একটি সংস্কৃতি কখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না। নারীরা আজও স্বাধীন নয়। তারা এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে আসেননি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে নারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা সমাজের প্রচলিত সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। নারীকে পুরুষের অধীনস্থ নয় বরং সমকক্ষ ভাবা এখন প্রতিটি সমাজের দাবি। নারীর প্রতি সহমর্মিতা নয়, প্রয়োজন সহযোগিতা।


বিশ্ব উন্নয়নে নারীর পারিবারিক, সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছে নারী। যেখানে কয়েক যুগ আগেও নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। এছাড়াও স্পিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী ও সরকারের উচ্চপদস্থ বিভিন্ন পদে নারীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।


পৃথিবী সৃষ্টি থেকে আজ পর্যন্ত আমরা জানি আদম ও বিবি হাওয়ার 'গন্ধম' ফল খাওয়ার কাহিনী, মিশরের রাণী 'ক্লিওপেট্রার' কাহিনী, 'হেলেন' অব ট্রয়ের জন্য ট্রয় নগরী ধ্বংসের কাহিনী (অনেকেই বলেন ট্রয় নগরী যখন জ্বলছিল তখন ট্রয়ের শাসক 'নিরো' হেলেনের প্রেমের মোহে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন)। মোগল সাম্রাজ্যের প্রেমিক সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি 'তাজমহল' এর কথা। "রোমিও-জুলিয়েট" কিংবা টাইটানিক মুভির "রোজ- জ্যাক" এর মতো কাহিনী বাস্তব জীবনেও কম নেই।


যেভাবেই বিবেচনা করা যাক না কেন, বিশ্ব সৃষ্টি থেকে আজ অবদি পুরুষের প্রেম-প্রেরণা, মোহ-ভালবাসা, সুখ-দুঃখ, যন্ত্রণা-হিংস্রতার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে 'নারী'।


সভ্যতার নানা উত্থান, অর্জন এসেছে নারীর হাত ধরে। শিল্প-সাহিত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান সর্বত্রই নারীর সফল পদচারণা। মানবসেবা ও আবিষ্কারে নারী বরাবরই ইতিহাসে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইতিহাস কাঁপানো বহু নারী খুব সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসেছেন ইতিহাসের পাতায়।


কর্মক্ষেত্র


কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার আগের তুলনায় বেড়েছে। গেল বছরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী। আশার কথা হলো, সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়ছে। সামরিক বাহিনীতে চাকরি, রিটেইল সেলস, ড্রাইভিংসহ কর্পোরেট দুনিয়ার চ্যালেঞ্জিং জবগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ দিনে দিনে বাড়ছে।


অর্থনীতি


দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি হচ্ছে পোশাকশিল্প। আর এই শিল্পে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই নারী। এছাড়া অর্থনীতির অন্যতম আরেকটি প্রধান ভিত্তি-কৃষিক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ শত বছর ধরে চলে আসছে। এই খাতের প্রধান ২২টি কাজের ১৭টি নারীই করেন কোনো ধরনের স্বীকৃতি ছাড়াই! এভাবে অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের নারী সমাজ।


শিক্ষা


নারীর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণে গত দুই দশকে অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিকে মোট ছাত্রছাত্রীর মধ্যে প্রায় ৫১ শতাংশ ছাত্রী। মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থীর ৫৪ শতাংশের বেশি ছাত্রী। এইচএসসিতে ছাত্রীর অংশগ্রহণের হার ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তাই বলা চলে, শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমতা প্রায় প্রতিষ্ঠার পথে।


উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা


দেশে বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কাজ করে চলেছেন। একটা সময় নারী উদ্যোক্তা বলতেই মূলত কুটির শিল্পপ্রধান কাজের উদাহরণ এলেও বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশ বেড়েছে।


পারিবারিক জীবন


দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের একক হচ্ছে পরিবার। সেই পারিবারিক জীবনে কন্যা, পুত্রবধূ, জননী ইত্যাদি ভূমিকায় নারী যে পরিমাণ অবদান রাখছেন তার আর্থিক মান জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।


উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্প্রতি একগবেষণায় উঠে এসেছে, পরিবারে নারী নীরবে যে কাজ করেন তার অর্থমূল্য প্রায় ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৭০ শতাংশেরও বেশি!


এত কিছুর বিনিময়ে কেবলই অবিচার জুটেছে অবলা নারীর ভাগ্যে। প্রাপ্তির খাতায় বেড়েছে খুবই শূন্যতা। তার চারিধার ঘিরে গড়ে উঠা সমস্যার আকড়, মাকড়সার জালের মত অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে তাকে। হাজারও প্রতিবন্ধকতা, ঝড়-ঝঞ্ঝা মুহুর্মুহু স্থবির করে দিচ্ছে নারীর চলমান গতিকে। পর্যুদস্ত করছে নারীর স্থিতিশীল অবস্থানকে। অবস্থার উন্নয়নে, ভাগ্য পরিবর্তনে সময়ের সাথে সাথে প্রণীত হয়েছে বিভিন্ন নীতিমালা; হাতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন আইন। কিন্তু পরিবর্তন ঘটেনি নারীর অবস্থার। তাই একবিংশ শতাব্দীর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে দাঁড়িয়েও নারী আজ বড় অসহায়, বড় বিপর্যস্ত! আজ আধুনিক বিশ্বের নারী সমাজকে প্রতিটি পদক্ষেপে নানান সমসস্যা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে।


সম্প্রতি দেখা গেছে, ২০১৮ সালের প্রথম চার মাসেই দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৭ জন নারী ও শিশু। নির্যাতিত হয়েছে আরও ৮১ জন শিশু। গণপরিবহনগুলোতে নারীর যাতায়াত রীতিমত আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিচারব্যবস্থা বারবার হতাশ করছে। কারণ অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে তারা ক্ষমতার জোরে বিচারের ঊর্ধ্বে থেকে যাচ্ছে। একটি ঘটনা সাময়িকভাবে ব্যাপক আলোচিত হলেও কিছুদিন পর তা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। ফলে বিচার সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। বিচারহীনতা নারীকে আরও বেশি অনিরাপদ করেছে। এ ধরনের অপসংস্কৃতি থেকে যদি বেরিয়ে আসা না যায় তবে নারীর উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।


বাল্যবিবাহের মতো প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা সমস্যা থেকে এখনো মুক্তি পায়নি দেশের নারীরা। পথে-ঘাটে চলাচলে বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের থেকে অপমানজনক কথার শিকার হন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।


সম্প্রতি, ‘সেইফ সিটিজ ফর উইমেন’ শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের শতকরা ৮৮ জন নারী রাস্তায় চলার পথে অপমানজনক মন্তব্যের মুখোমুখি হন।


২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের সাতটি বিভাগে ৮০০ জন নারী ও ৪০০ জন পুরুষের উপর এই গবেষণাটি চালানো হয়। ফলাফলে বলা হয়েছে, ৮৬ শতাংশ নারী গাড়িচালক ও চালকের সহকারীর দ্বারা এবং শতকরা ৬৯ জন দোকানি ও বিক্রেতার মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।


সব কষ্ট, ত্যাগ ও তিতিক্ষাকে পেছনে ফেলে নারীর আজকের এই যে অগ্রযাত্রা এই পথ কিন্তু অর্জন করেছেন নারী তার নিজের যোগ্যতায়। নিজের মেধা, ধৈর্য, কষ্ট, সহনশীলতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে। এই পথ মোটেই সহজ ছিল না বা এখনো সহজ নয়। এর জন্য নারীকে প্রতিদিন করতে হয় সংগ্রাম।


বর্তমান সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট করা হচ্ছে। সব মন্ত্রণালয়ে নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নির্ধারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৪টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে নারীর সামর্থ্য উন্নীতকরণ, নারীর অর্থনৈতিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, নারীর মতপ্রকাশ ও মতপ্রকাশের মাধ্যম সম্প্রসারণ এবং নারীর উন্নয়নে একটি সক্রিয় পরিবেশ সৃষ্টিকরণ।


পৃথিবীকে যথার্থ সুন্দর আর বাসযোগ্য করে তোলার পূর্বশর্ত নারী-পুরুষের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা। বিশ্ব উন্নয়নে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ধারণ করা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসঙ্গতিগুলো দূর করা। নারীবান্ধব সংস্কৃতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা বিশ্বের সব সংকীর্ণতা দূর করে নতুন বিশ্ব গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও নারীর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।


সব সঙ্কীর্ণতা দূর হয়ে যাবে নারী পাবে তার প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি এমন প্রত্যাশা রেখে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে সব নারীর প্রতি রইল সাতরঙের শুভেচ্ছা।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com