শিরোনাম
মরদেহ শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৭
মরদেহ শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর চকবাজার চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত দগ্ধ ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসক। বাকি মরদেহের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত করতে ১৫ মরদেহের স্বজনরা আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে ২০ স্বজনের রক্ত বাক্কাল টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ।


শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় নমুনা সংগ্রহ করতে বুথ বসায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫টি মরদেহের দাবিদার ২০ স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানান।


সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পোড়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সময়সাপেক্ষ। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও স্যামপ্লিং সহজে করা গেলেও নিহতের মরদেহের সঙ্গে ক্রসম্যাচ করা হবে কঠিন। এজন্য ৬ থেকে এক বছরও সময় লেগে যেতে পারে।


সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের সহকারী অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন জানান, শনাক্ত করা যায়নি এরকম ১৫টি লাশের দাবি নিয়ে ২০ জন তাদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের ডিএনএ নমুনা আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা আজ বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর কেউ এলে তারা মালিবাগে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে গিয়ে নমুনা দিতে পারবেন।


স্বজন পরিচয়ে যারা আসছেন, তাদের রক্তের পাশাপাশি গালের অভ্যন্তরের টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। আর যে ২১ জন লাশ শনাক্ত করা যায়নি, তাদের পেশি, দাঁত ও হাড়ের নমুনাও সংগ্রহ করছেন সিআইডির কর্মীরা জানান নুসরাত।



বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা জানান, যাদের চেনার উপায় নেই, তাদের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি এখন ডিএনএ স্যাম্পলের উপরই নির্ভর করছে। এ পরীক্ষার জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।


নিখোঁজদের স্বজনরা যতদিন পর্যন্ত আসবেন, ততদিন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের এই কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় কয়েকটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে নয় জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও ‘শঙ্কামুক্ত নয়’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।


ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে আরো একজনের লাশ নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।


ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৮টি লাশ অন্য চার মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়েছে।


এর মধ্যে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চারটি, কুর্মিটোলায় তিনটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঁচটি এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে পাঁচটি লাশ রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।


বিবার্তা/শান্ত/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com