অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় গ্যাস পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে যে সমুদ্রসীমা আমরা পেলাম সেখানে পানির তলদেশে কী আছে তা আমাদের জানা দরকার। সেজন্য আমরা একটি ইংলিশ কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম স্টাডি করার জন্য। তারা স্টাডি করেছে। স্টাডিটার আরো ডিটেইলে যেতে হবে। সমুদ্রের নিচে যে যে সম্পদ আছে আমাদের, বিশেষ করে গ্যাস হাইড্রেট। গ্যাস হাইড্রেটা যেখানে থাকে একদিকে এটাকে কর্মাশিয়ালি ব্যবহার করা যায়, সেখানে দেখা যায় পরে এনাফ গ্যাস থাকে।
তিনি বলেন, সে জন্য তারা (বিদেশি কোম্পানি) আরো স্টাডি করবে, স্টাডি করার জন্য তাদের আমরা সুযোগ করে দিয়েছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, তারা যা পাবে তাদের ফাইন্ডিংস এবং সেগুলো এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অল দিস থিংস এগুলোকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশের জন্য কাজে লাগাব, সম্পদ হিসেবে পাব, এক্ষেত্রে আমাদের পেট্রোবাংলাকে সম্পৃক্ত করে এ কাজটি করতে বলেছি। যেহেতু তারা (পেট্রোবাংলা) রান করবেন, তাই তাদের এখন থেকেই সঙ্গে আমরা নিয়ে নেব।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে বলা হয়েছিল ২ বছরের মধ্যে, আমরা বলেছি ২ বছর অনেক লম্বা সময়। এক বছরের মধ্যে তাদের ফাইন্ডিংস ও স্টাডি ইভ্যালুয়েশন করে আমাদের কাছে নিয়ে আসতে বলেছি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সেখানে গ্যাস থাকার কোনো তথ্য আছে কি না- জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক ইন্ডিকেশনে যেটা আমাদের সামনে আছে সেটা হলো আমাদের একপাশে আছে ভারত, আরেকপাশে মিয়ানমার। আমাদের জানা মতে, যে ফাইন্ডিংস আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে সেটা হলো- ভারতও পেয়েছে এবং মিয়ানমারও পেয়েছে। আমরা মাঝখানে আছি সে জন্য আমাদের প্রত্যাশা আমরাও পাব, আমরাও পেতে পারি। সে জন্য আমাদের এ স্টাডিটি কমপ্লিট করতে হবে।
তিনটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে নতুন ব্যাংক নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। কারণ, তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে তাঁর জানতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছ থেকে এ ব্যাপারে তিনি আগে জানবেন, তারপর কথা বলবেন।
পর মুহূর্তেই তিনি বলেন, প্রয়োজন না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিতভাবে এ কাজ করত না। তাদের (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের) হয়তো বিশ্লেষণ আছে, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে, তাই দিয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, কয়টা ব্যাংক আছে, এটা ব্যাপার না। ব্যাংকগুলো যদি নিয়মনীতি মেনে চলে, কার্যক্রম যদি থাকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক করা, ব্যাংকগুলো যদি তা পূরণ করতে পারে অর্থাৎ গ্রাহকদের সেবা দিতে পারে, তাহলে সংখ্যা দিয়ে কিছু হবে না। সেই বিবেচনায় সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
বিবার্তা/মাইকেল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]