শিরোনাম
বাংলাদেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১২
বাংলাদেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে বলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) প্রতিবেদেন উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে দরিদ্র সীমার নিচে বাস করত ২৪.৩ শতাংশ মানুষ, ২০১৭ সালের দরিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.১ শতাংশে। ২০১৫ সালে অতি দরিদ্র মানুষ ছিল ১২.৯ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১২.১ শতাংশে।


রবিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০১৮ তুলে ধরা হয়। এর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম।


প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে এসডিজির মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি, কিছু ক্ষেত্রে অবনতিও হয়েছে।


এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এসডিজির বড় লক্ষ্য অর্জনে ব্যক্তিখাতের অবদানের গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে তথ্যের অভাব রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই, কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই তথ্য নেই। সারাদেশে এসডিজি অর্জনের তথ্য পেতে পরিসংখ্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’


তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। বিদ্যুতের উন্নতি অভাবনীয়। বিদ্যুতের সফলতা আমরা ভোটের মাঠে পেয়েছি। সরকার পিডিবি ও আরইবিকে প্রশংসা করেছে।’


এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘এসডিজি অর্জন সবখাতে সমান নয়; বিশেষ করে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে। সমতার ক্ষেত্রে এসডিজিতে ফোকাস করা হয়নি। শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।’


বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সিপ্পো বলেন, ‘কর্মসংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষ জনসম্পদ নেই, অসমতা বাড়ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য এগুলো দরকার হয়। শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম বাজেটে, এটা বাড়াতে হবে। বাল্যবিবাহ এখনও রয়ে গেছে, লিঙ্গ-অসমতা রয়েছে। দ্রুত নগরায়ন হওয়ায় জলবায়ুর যে পরিবর্তন হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’


তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের চলমান কার্যক্রম অব্যহত রাখতে হবে।’


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com