শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় যে সব নিয়মিত শিক্ষার্থীরা অনিয়মত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের খাতা ভিন্নভাবে দেখা হবে, যেন তারা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যদিকে, যাদের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার সংসদ অধিবেশনে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার থেকে শুরু এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ১০ জেলার ১৮টি কেন্দ্রে পুরনো সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা।
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে জানতে চান, কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে পুরনো প্রশ্নে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে। এ বিষয় মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোনোও শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, সারাদেশের এসএসসি পরীক্ষার প্রায় ৪ হাজার কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র সচিবসহ যাদের ভুলের কারণে এটা ঘটেছে, ইতোমধ্যে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ী বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরোও জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষায় যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তাদের খাতা ভিন্নভাবে দেখা হবে। আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে- সে বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নৈতিকতাবিরোধী বক্তব্য দিলেন। যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের কোন মানদণ্ডে নম্বর দেবেন। সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে তারা পরীক্ষায় কী লিখলো? তারা না লিখলেও কী নম্বর দেবেন? বরং তাদের সিলেবাসে নতুন প্রশ্নে তাদের আবরো পরীক্ষা নেয়া যায় কিনা?
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন করে পরীক্ষা নিলেও তো একই মানদণ্ড নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কারণ আগের যে প্রশ্নে অন্যরা পরীক্ষা দিয়েছে, একই প্রশ্নে আবারও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। আর নতুন প্রশ্ন করলে তো আলাদাই হলো। তবে, সমাধান কী? এবিষয়ে যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোনো প্রস্তাব থাকলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]