শিরোনাম
টিআইবির প্রতিবেদন মনগড়া: রফিকুল
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:২৯
টিআইবির প্রতিবেদন মনগড়া: রফিকুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনটি পূর্বনির্ধারিত, মনগড়া।


রফিকুল ইসলাম বলেন, টিআইবি প্রতিবেদনটিকে গবেষণা বলে দাবি করছে। কিন্তু তা কোনো গবেষণা নয়। গবেষণা করতে যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়, তা এখানে প্রয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়া বলা হয়েছে, এটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন। তার অর্থই হচ্ছে, প্রতিবেদনটি মনগড়া।


রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আজ সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, নির্বাচনে ৪৭টি আসনের এক বা একাধিক ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪১ আসনে জাল ভোট পড়েছে আর ৩৩ আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে।


টিআইবি ২৯৯ আসনের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০টি আসনে গবেষণা করে এমন তথ্য দিয়েছে। সেই মোতাবেক ৯৪ শতাংশ আসনে নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে। জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে ৬৬ শতাংশ আসনে।


এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, টিআইবি বলেছে গবেষণাটি গুণবাচক। এতে মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে। কিন্তু এভাবে কোনো গবেষণা হয় না। ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই তা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নিতে হবে অথবা লিখিত কোনো ডকুমেন্ট থেকে নিতে হবে। কিন্তু তারা এসবের কিছুই করেনি। কাজেই এটি কোনো গবেষণা হয়নি।


রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘টিআইবি বলেছে, তারা বাছাই করা প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিলে গবেষণা প্রতিবেদন এক রকম হবে। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছ নিলে তা আরেক রকম হবে। কিন্তু এই গবেষণায় টিআইবির বাছাই করা প্রার্থী কারা, সেটা স্পষ্ট নয়। তাই আমরা এই প্রতিবেদন আমলে নিচ্ছি না।’


গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-১ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় পুনঃ তফসিলের পর সেখানে ২৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই আসনে বিএনপি তার প্রার্থী সরিয়ে নিয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৭, জাতীয় পার্টি ২২, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২, জাতীয় পার্টি-জেপি ১ ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৮টি। অন্যদিকে বিএনপি ৬টি ও গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮টি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন।


বিবার্তা/রোকন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com