শিরোনাম
বাংলাদেশের লক্ষ্য ১০ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৮
বাংলাদেশের লক্ষ্য ১০ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা করছেন, আগামী তিন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরদার হয়ে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে দাঁড়াবে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি আরো গতিশীল হয়ে আগামী তিন বছরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১০ শতাংশে।


নিক্কাই ইন্টারন্যাশনালের সংবাদপত্র নিক্কাই এশিয়ান রিভিউকে সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী। পত্রিকাটির সাংবাদিক উজি করুনুমা এবং এডিটর এ্যাট লার্জ গোয়েন রবিনসন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।


সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ‘স্বল্পোন্নত দেশের’ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। তাঁর প্রায় এক দশকের শাসনামলে অর্থনীতির ধারাবাহিক বিকাশে প্রবৃদ্ধি ৬% থেকে ৭% এ উন্নীত হয়। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরেও এই প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭.৮৬%।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮.২৫% এবং এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহতভাবে বাড়বে। যদি নির্বাচিত হই, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে ২০২১ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১০ শতাংশে।


শেখ হাসিনা বলেন, গৃহীত নানা নীতি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। এর একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে তাঁর সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করেছেন। এরমধ্যে বর্তমানে ১১টি জোন চালু হয়েছে,অবশিষ্ট ৭৯টিতে নির্মাণ কাজ চলছে।


তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ভারত বাংলাদেশের পশ্চিমাংশে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এতে দুটি রিএ্যাক্টর থাকবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।


আগামী বছর দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দরপত্র আহবান করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় পরমাণু কেন্দ্রের জন্য আমরা জমি খুঁজছি। দক্ষিণাঞ্চলে দেশের একটি দরিদ্র এলাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।


সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকা সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করবে যেটি এদেশের জন্যে উপযুক্ত ও সুবিধাজনক। ২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে ৮ লাখ অথবা আরো বেশী রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, এই বিষয়টি একটি নির্বাচনী ইস্যু হতে পারে এমন আশঙ্কা নেই।


রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান যে, যখন আমি তাদের দুর্দশার কথা উপলব্ধির জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, প্রয়োজনে খাবার ভাগ করে খাওয়ার কথা বলেছি তখন মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেছে। দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেছে।


তিনি বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়েছি। নারী ও শিশুদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি। উভয় দেশ মধ্য নভেম্বর থেকে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু প্রথম গ্রুপটি ফিরে যেতে অস্বীকার করায় তা স্থগিত হয়ে যায়।


নতুন সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন পাশের একটি দ্বীপে কিছু শরণার্থীকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা শেখ হাসিনা নিশ্চিত করেন। একইসঙ্গে তিনি বন্যা প্রবণ এলাকাটি কারাগারের মতো হয়ে যাবে এ ধরনের আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেন।


তিনি বলেন, এটি একটি সুন্দর দ্বীপ, এটি মানুষ গবাদি পশু চাষে ব্যবহার করে। তারা ওখানে ভালোভাবে থাকতে পারে। শিশুরা সেখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাবে। আমরা সেখানে ত্রাণ বিতরণের জন্য গুদাম তৈরি করেছি। আমরা এই মুহূর্তে এক লাখ শরণার্থীর সহায়তায় প্রস্তুত, কিন্তু আমরা সেখানে দশ লাখ শরণার্থীর জন্য ব্যবস্থা করতে পারব।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো শরণার্থীকে জোরপূর্বক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না। কিন্তু শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ অন্যান্য দেশের সহায়তা দিতে হবে। মিয়ানমার নিজ দেশে তাদের মানুষদের কিভাবে ফেরত নিবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।


সূত্র: বাসস।


বিবার্তা/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com