আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ভোটকক্ষের ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুল হাসান।
শুক্রবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটকক্ষে একজন ভোটার প্রবেশ করার পর প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় থাকলে ব্যালট পেপারের মুড়িতে তার আঙুলের ছাপ রেখে ভোটারকে ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে হবে। এরপর ভোটার গোপনকক্ষে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
তিনি আরো বলেন, গোপনকক্ষে ভোট প্রদানকালে কর্মকর্তারাসহ অন্য কারোই প্রবেশ অধিকার থাকবে না। কেবল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারকে সহায়তার জন্য ভোটার তার পছন্দের একজনকে সঙ্গে রাখতে পারবেন।
ইসি অতিরিক্ত সচিব প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এক স্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসাররা পর্যবেক্ষকদের সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।
কামরুল হাসান বলেন, কেউ জাল ভোট দিলে বা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রিজাইডিং বা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে নিবৃত্ত করা। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে জাল ভোট প্রদানকারী ব্যক্তিকে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) ডেকে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবার্তা/রোকন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]