শিরোনাম
জনগণ ভোট দিলে ফিরে আসব: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৫৪
জনগণ ভোট দিলে ফিরে আসব: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে দেশের অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে জনগণের ভোটে আবারো ক্ষমতায় আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সামনের নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট দেয়, যদি চায় দেশের সেবা করি, হয়তো আল্লাহর রহমতে আবার ফিরে আসব, আপনাদের সঙ্গে এখানে দেখা হবে।’


বুধবার বিকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের মানুষের দিন বদলাচ্ছে। আমরা দেশের প্রত্যেকটি ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে চাই এবং এই দেশের আর কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না, অনাহারে কষ্ট পাবে না। রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তাঁর সরকারের চেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ আজ অগ্রসরমান।’



শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক কিছু মোকাবেলা করে জনগণের সহযোগিতা নিয়ে জনগণের ভোটে আবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি। যার ফলে আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। সামনের নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট দেয়, আপনাদের সঙ্গে এখানে দেখা হবে। আর যদি না পারি, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ উন্নয়নের যে গতিপথ শুরু করেছি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ দেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ। যতই অন্ধকার হোক-তা পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’



বিখ্যাত কবি রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতার অংশ বিশেষ আবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দ্য উডস আর লাভলি, ডার্ক অ্যান্ড ডিপ, বাট আই হ্যাভ প্রমিজেস টু কিপ অ্যান্ড মাইলস টু গো, বিফোর আই স্লিপ...অ্যান্ড মাইলস টু গো। বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। অনেক বিপত্তি পেরিয়ে আমরা উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলাম, ইনশাল্লাহ আর কেউ এই যাত্রা থামাতে পারবে না।’



শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন নানা উদ্যোগ নিই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান-সংস্থাকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে কাজ করি।’


রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশ যেখানে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে হিমশিম খায়, সেখানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা যুদ্ধ করবো না। কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে ছেড়ে দেব না। যতক্ষণ আমাদের শ্বাস আছে, আমরা প্রতিরোধ করব।’



সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্র তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব পদক্ষেপই আমি নিয়েছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। সেই মর্যাদা অক্ষুণ রেখে আমাদের চলতে হবে। আমাদের সামনে আরো অনেক যাত্রা পথ বাকি রয়েছে।’


অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।



এ সময়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন এবং মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানে।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল


আরও পড়ুন- ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ নয়, মানুষের কল্যাণে কাজই গুরুত্বপূর্ণ’

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com