শিরোনাম
‘প্রধানমন্ত্রীর পদ নয়, মানুষের কল্যাণে কাজই গুরুত্বপূর্ণ’
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:০৯
‘প্রধানমন্ত্রীর পদ নয়, মানুষের কল্যাণে কাজই গুরুত্বপূর্ণ’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশের যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।


তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে তার দল যে দিন বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আজ পূরণ হয়েছে। সমৃদ্ধ দেশ গড়ার এ অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।


সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সেনাসদরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খেতাপপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের সনদ। আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন। সেই দিন বদল আমরা করতে পেরে ছিলাম কি না। আমি দাবি করব, আমি অবশ্যই দিন বদল করেছি। তবে আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে, অনেক উন্নয়ন করতে হবে।


তিনি বলেন, যে দেশে ৪০ ভাগ দারিদ্র্য ছিল, সেটা আমরা ২১ ভাগে নিয়ে আসছি। আমাদের লক্ষ্য আরো পাঁচভাগ এই দারিদ্র্যের হার আমরা কমাব। বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমুক্ত দেশ।


তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ভাল আছে। এখন আর কেউ বাংলাদেশের মানুষকে নিচু চোখে দেখে না। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। এখন এই অগ্রযাত্রা কেউ যাতে বন্ধ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।



শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। কিন্তু সত্যকে কেউ কখনো চাপা দিতে পারে না, মানে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দিতে পারে না। আজকে সেটা প্রমাণিত, ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যেই ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। যে ভাষণকে আজ ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে সেই ভাষণ এক সময় বাজাতে দেয়নি বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা।


সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা বা প্রধানমন্ত্রীর পদ গুরুত্বপূর্ণ নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।


অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ১০১ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শান্তিকালীন বিশেষ অবদান রাখায় সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর ১৩ সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন তিনি।



শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছে তাদের সম্মান দেয়ার জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরদের প্রতি আমরা সম্মান জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও সম্মানীর জন্য আইন করা হয়েছে। ইচ্ছে করলেই এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।


তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের জন্য আধুনিক সরঞ্জামাদি কেনা থেকে শুরু করে অনেক কিছু করেছে আমাদের সরকার। ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


তিনি আরো বলেন, আমরা যখন থেকে সরকারে এসেছি তখন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের জীবনমানটা যেন আমরা উন্নত করে দিতে পারি এবং বাংলাদেশ যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠে।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে (শিখা চিরন্তন) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।


প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।



পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানগণ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) পৌঁছালে এফডিএ’র পিএসও এবং মহাপরিচালকগণ তাকে অভ্যর্থনা জানান।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com