শিরোনাম
বিএনপির ঢালাও অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া যায় না: ইসি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৩৬
বিএনপির ঢালাও অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া যায় না: ইসি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পৃক্ত প্রশাসন ও পুলিশ নিয়ে বিএনপির অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকালে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, বিএনপির অভিযোগ ঢালাও। তবে দলটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।


এর আগে দুপুরে নির্বাচন ভবনে গিয়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পুলিশ সদর দফতরের বদলির দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়েও বদলির কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।


এসব দাবি নাকচ করে ইসি সচিব জানান, ৪৫ জন মেনটর নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থগিত করেছে। জেলা প্রশাসনে মেনটর নিয়োগ পূর্ব প্রচলিত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এটা রুটিন কাজ। এ আদেশটি কমিশন অবহিত নয়। ৮ নভেম্বর আদেশটি করেছিল, ১৩ নভেম্বর স্থগিত করেছে।


ইসি সচিবের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন বলেন, সচিব ইসির মুখপাত্র। ইসি সচিবের আলাদা সত্ত্বা নেই। কমিশনই সব সিদ্ধান্ত নেয়; সচিব তা বাস্তবায়ন করে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে।


এর আগে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তফসিল ঘোষণার দিন গত ৮ নভেম্বর ৪৫জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগের-পরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের নগ্ন পদক্ষেপ এটি।


এক প্রশ্নের জবাবে ইসির সচিবকে উদ্ধৃত করে আলাল বলেন, দায়িত্বের কথা তিনি শুনেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে তিনি চিঠি পাননি।


তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ এখন নেই। ইসি যদি তাদের অপসারণ করতে না পারে তাহলে কমিশন সবার দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হবে। সমান সুযোগ তৈরি করা কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব।


ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৪৫জন কর্মকতার নামের তালিকা ইসিতে জমা দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে গত ৮ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা একটি আদেশের কপিও জমা দেয়া হয়। ওই আদেশে ৪৫ জন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নাম, পদবী ও কোন জেলার পরামর্শক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ রয়েছে।


৪৫জন উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার দিন ৮ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৪৫জন কর্মকর্তাকে ৪৫ জেলার পরামর্শক নিয়োগ দেয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ও প্রতিশ্রুত প্রকল্পগুলো নির্বাচনকালীন সময়ে বাস্তবায়ন নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড ব্যাহত করবে, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অজানা নয়। এতে বলা হয়, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সকলেই রিটার্নিং অফিসারের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা। তাদের অধিকাংশ নিজ জেলায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে; যা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (জেলা প্রশাসক) নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনকে নিশ্চিতভাবে বিঘ্নিত ও বিব্রত করবে।


চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের দায়িত্ব প্রদান নির্বাচনকে চরমভাবে প্রভাবিত করবে এবং রিটার্নিং অফিসারদের উপর অযাচিত প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি করবে।


এদিকে বিএনপির আরেক চিঠিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বদলির কথা জানিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং পুলিশ সদর দফতরের মাঠ প্রশাসনে বদলি করতে হবে। বদলির ক্ষেত্রে ব্যাচের সিনিয়রিটি ও মেধাক্রম অনুসরণ করতে হবে।


সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে। সকল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল জেলার বাইরে বদলি করতে হবে।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বা সমমানদের পিএস বা এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তাদের নির্বাচন সংশ্লিস্ট পদে পদায়ন করা যাবে না। সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। পদোন্নতিবঞ্চিত সকল যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে হবে।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com