একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বিশেষ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে পুলিশের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ও মহাপুলিশ পরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয় থেকে রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে ২২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক হবে। বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, সকল মহানগর পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত বৈঠক করে ইসি। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে প্রথমবারের মতো আলাদাভাবে পুলিশের সঙ্গে বসছে সংস্থাটি।
নির্বাচন বানচালে কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে নজর রাখতেই এই বৈঠক। এতে নির্বাচন আচরণ বিধি, প্রার্থী ও সমর্থকদের করণীয়, অবৈধ অস্ত্রের প্রভাব, কালো টাকার প্রভাব, ভোটারদের সহায়তা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে ব্রিফ করা হবে।
একইসাথে নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনে পুলিশ সদস্যরা যেন অতি উৎসাহী আচরণ করে কাউকে হেনস্তা না করেন সেই বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (রিটার্নিং কর্মকর্তা) ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পর ইসির নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালেই ইসির কাছে বিএনপি অভিযোগ করেছে, ইসির নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দলটির তথ্য অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৭৭৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করার কথা বলা হয়। পরে বিভিন্ন দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তফসিল পরিবর্তন করা হয়।
পরিবর্তিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। এদিন থেকেই প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে যেতে পারবেন।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]