শিরোনাম
‘পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩০
‘পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না। তাই কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তিনি বলেন, জাতির প্রত্যাশা পূরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধপরিকর। আমরা জাতির সে প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ।


রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআিই) শনিবার সকালে আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।


নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শাহাদত বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন ইসি তাই করবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য জাতি নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে।


তিনি বলেন, এই নির্বাচন ও সকল নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, আপনারা প্রত্যেকে দল-মত নির্বিশেষে আপনারা আপনাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। নিরপেক্ষতার বিষয়ে কাউকে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।


তিনি আরো বলেন, আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন উঠলে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো রকমের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া যায়, সেটা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেহেতু এবারের নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, তাই নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। এই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য, প্রত্যেক প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পায়, সেটি আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না। মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাদেরকে সবসময় আমরা বলে থাকি, আপনারা হলেন কমিশনের অঙ্গপ্রতঙ্গ।


নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে প্রশিক্ষকদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।


অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ উল্লেখ করে শাহাদত হোসেন বলেন, এদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশিত একটি সরকার গঠিত হতে পারে, যারা এ দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।


প্রতিটি কর্মকাণ্ড আইনানুগভাবে পরিচালনা করে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদও দেন তিনি।


শাহাদত হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন চায়, একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিবন্ধিত দলের বাইরে অনেক অনিবন্ধিত দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। সব দল অংশ নেয়ায় কমিশন আনন্দিত।


নির্বাচন উপলক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কেন্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিষয়ক প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com