শিরোনাম
‘প্যারোলে খালেদার মুক্তি চাইলে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলতে হবে’
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫২
‘প্যারোলে খালেদার মুক্তি চাইলে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলতে হবে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইলে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আলোচনার পথ খোলা আছে।


আবার সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট পরিসরে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আরো আলোচনা হতে পারে। তবে সময় বেশি নেয়া ঠিক হবে না। ৭ তারিখের পর সংলাপ হবে কি না তা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।


সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি বিষয়ে কাদের বলেন, সেরকম যদি কিছু তারা চান তাহলে তারা প্রাইম মিনিস্টারকে বলতে পারেন। তারাতো আলোচনা করছেন। আলোচনাতো খোলামেলা। আর তার চিকিৎসার বিষয়ে রাজনৈতিভাবে স্টান্ডবাজি করা হয়েছে। বেগম জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে কোনোভাবেই কতৃপক্ষ অবহেলা করেনি। এখনতো চিকিৎসার নিয়ে কোনো কথা নেই।


খালেদার জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে প্রায় ৩০ মামলায় বেগম জিয়া জামিন পেয়েছেন। আর যে মামলায় রায় হয়েছে সে মামলা আমরা করিনি, রায়ও আমরা দিইনি। তাই রায়ের বিষয়ে তারা আইনিভাবে আদালতে এগুতে পারে। এটা পুরোটাই আদালতের বিষয়।


তিনি আরো বলেন, বিষয়টা এমন নয় যে এটা কোনো সাধারণ মামলা। গত ১০ বছর ধরে দুটি মামলা চলেছে। সময়মতো হাজিরা দিলে এ মামলা দুটির রায় অনেক আগেই হয়ে যেতে পারতো। অহেতুক একটা বিলম্ব তারা করেছেন। সেজন্য মামলার কাজ বিলম্বিত হয়েছে। মামলার সঙ্গে নির্বাচনকে সম্পৃক্ত করারতো কোনো যুক্তি নেই।


আবার সংলাপ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ছোট পরিসরে আলোচনা করা যায়। ঐক্যফন্টের নেতারাও বলেছেন ছোট পরিসরে আলোচনা করবে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তারাই বেশি কথা বলেছেন। লম্বা সময় ধরে তারা কথা বলেছেন। তাদের ২১ জনের মধ্যে সবাই কথা বলেছেন। আর আমাদের মাত্র চারজন কথা বলেছেন।


তিনি বলেন, আমাকে একটু আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাহেব জানিয়েছেন, একটি চিঠি আমাদের অফিসে পাঠাচ্ছেন। আমি অফিসে বলে দিয়েছি চিঠি রিসিভ করতে। বিকালে আমি আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবো।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সংলাপ হওয়াটাই রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। সংলাপের মাধ্যমে বরফ গলতে শুরু করেছে। একসঙ্গে বসলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারো ছোট পরিসরে বসাই যায়। সংলাপ হবে, সংলাপে দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে।


কবে নাগাদ আবার সংলাপ হতে পারে- এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ না কাদের বলেন, আমরা ৭ তারিখের পর যেতে চাইছি না। কারণ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ২০০ কাছাকাছি। এর মধ্যে আলোচনাতো অনেকেই করতে চায়।


তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসভা করতে তো কারও কোনো বাধা নেই। তবে সংলাপ এবং আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। এটা একদম পরিষ্কারভাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। আমিও বলছি সংলাপে যখন তারা আবারও বসতে চান তাহলে আন্দোলন কেন?


চলমান সংলাপ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচনে কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।


এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণায় দেরি করবে কিনা সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। ইসি চাইলে তফসিল ঘোষণা বিলম্বিত করতে পারবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেয়া হবে না।


তিনি বলেন, ইসি যদি ঐক্যফ্রন্টের চিঠিকে গুরুত্ব দিয়ে মনে করে তফসিল ঘোষণা দেরিতে করা প্রয়োজন তাহলে সেটা তারা করবে। তবে নির্বাচনতো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। তফসিল পিছিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যদি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে সেটা তাদের এখতিয়ার।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com