শিরোনাম
‘উন্নয়ন জনগণের অর্থে, প্রতিটি পয়সা কাজে লাগাতে হবে’
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১১
‘উন্নয়ন জনগণের অর্থে, প্রতিটি পয়সা কাজে লাগাতে হবে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে উন্নয়নের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন জনগণের এবং জনগণের অর্থে। উন্নয়নের যে অর্থ আমরা সরবরাহ করছি তার প্রতিটি পাই পাই পয়সা যেন জনগণের কাজে লাগে, তা নিশ্চিত করতে হবে।


নিজেদের নয়, জনগণের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুতরাং জনগণের চাওয়া বুঝতে হবে। কীসে জনগণের কল্যাণ সেটা অনুধাবন করতে হবে।


প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নবিনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাবে সেটিই আমাদের সরকারের লক্ষ্য। গ্রামের মানুষের দোঁড়গোড়ায় সব সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।


তিনি বলেন, ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তারা যেন মুখ ফিরিয়ে না নেয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।


অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শপথ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব করতে হলে নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে চলবে না। মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগী হতে হবে, তাদের ভাগ্যেন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আপনারা যেহেতু আজ শপথ নিয়েছেন, আপনারা শপথবদ্ধ। আপনাদের জাতির সেবা করে যেতে হবে, সেটা দক্ষতার সঙ্গে করবেন।


তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি সব সময় চিন্তা করতে হবে নিজেদের ভাগ্য গড়া নয়, নিজেদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নয়, নিজেরা অর্থ-সম্পদে শক্তিশালী হবো তা নয়। বাংলাদেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম, মানুষ কি পেলো, মানুষের ভাগ্য কি পরিবর্তন করতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।


শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তার অবর্তমানে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষার হার বৃ্দ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ নানারকম চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর অবহেলিত কোনো দেশ নয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সুতরাং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে আমি আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।


জনগণের জন্য কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জনগণ ভোট দিয়েছে, যতদিন দায়িত্বে থাকবেন ভোটের বিনিময়ে তাদের কি দিতে পারলেন সেটাই বড় কথা। আমরা সরকারে আসার পর থেকে সেই চেষ্টাই করেছি। যার কারণে আজ মানুষের উন্নতি হয়েছে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন জনগণের এবং জনগণের অর্থে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশাল খ্যাত ছিল শস্যভাণ্ডার নামে। এই নামটি একসময় হারিয়ে যায়। আমরা আসার পর ফসলের উৎপাদন বাড়াতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করি। বরিশাল বিভাগ কতটা অবহেলিত ছিল, একবার চিন্তা করে দেখুন। প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই সেই শিকারপুর দোয়ারিকা, গাবখানসহ সব বিভিন্ন ব্রিজ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করি।


আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় এনেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল, ১০ বছর হয়ে গেল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ‘দিনবদলের সনদ’। আজকে বাংলাদেশে মানুষের জীবনে সত্যি পরিবর্তন হয়েছে এবং দিনবদলের যাত্রা শুরু হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, আমরা দারিদ্র্যতা ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আগে যা ছিল ৪০ শতাংশ। আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে।


মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাদকের হাত থেকে আমাদের পুরো সমাজকে মুক্ত করতে হবে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।


প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।


শপথ অনুষ্ঠানে আরোউপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com