কানাডাপ্রবাসী চলচ্চিত্র, নাটক ও থিয়েটারের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা আরিফুল হক বলেন, স্মৃতিটাই আমার অমূল্য সম্পদ। ওগুলোকে আমি আগলে রাখি মূল্যবান ঐশ্বর্যের মতো। তিনি বলেন, বিবার্তার ভালোবাসা আমাকে অনেক দিন কাঁদাবে। বিদেশে থাকলেও দেশকে আমি ভুলতে পারি না। আমার প্রিয় মানুষ মতিন রহমানেরকথা প্রায়ইমনে পড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিবার্তা কার্যালয়ে সম্মাননার জবাবে অভিনেতা আরিফুল হক এ সব কথা বলেন।
আরিফুল হককে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিবার্তার সম্পাদক
প্রাণবন্ত পরিবেশে আরিফুল হক বিবার্তা পরিবারের সদস্যদের সামনে তার বর্ণিল জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। দুপুর দেড়টার দিকে এই খ্যাতিমান অভিনেতা বিবার্তা কার্যালয়ে এলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিবার্তা সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক মতিনরহমান, অভিনেত্রী আঞ্জুমান আরা বকুল, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী, চিফ রিপোর্টার মৌসুমী ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিবার্তার বিনোদন সম্পাদকঅভি মঈনুদ্দীন।
আরিফুল হককেবিবার্তার ক্রেস্ট প্রদান
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করছেন আরিফুল হক। গত ১৫ নভেম্বর মাত্র ১৭দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন এই বিশিষ্ট অভিনেতা।
একটা সময় এ দেশের মঞ্চনাটক, টিভি ওচলচ্চিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তী এই অভিনেতা। তিনি একসময় চাকরি ছেড়েই নিজেকে পেশাজীবী অভিনেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। তবে জীবনের প্রয়োজনে তিনি ২০০০ সালে সপরিবারকানাডায় স্থায়ী হন। এরপর ২০১২ সালে দেশে এসে হানিফ সংকেতের নির্দেশনায় ‘পাঁচফোড়ন’-এ অভিনয় করেছিলেন।
আরিফুল হককে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন বিবার্তার বার্তা সম্পাদক
সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলেন আরিফুল হক। তাই সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কলকাতার দক্ষিণী সঙ্গীত বিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সও সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় চলে আসেন। এখানে এসেও স্বপ্ন ছিলো নিজেকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। কিন্তু অডিশন দেয়ার পর নানান জটিলতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। এক সময় টেলিভিশনে অভিনয়ের সুযোগ আসে তার। আতিকুল হক চৌধুরীর নির্দেশনায় একুশে ফেব্রুয়ারির একটি নাটকে অভিনয়ের পর দর্শকের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান তিনি। এরপরআর গানে ফেরা হয়নি তার।
বিবার্তা পরিবারের সাথে আরিফুল হক
উত্তম কুমারের সাথে ‘উত্তরায়ণ’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা আরিফুল হক। এটি নির্মাণ করেছিলেন বিভূতি লাহা।
আরিফুল হকের অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘লালন ফকির’, ‘সারেং বউ’, ‘বড় বাড়ির মেয়ে’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘সুন্দরী’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘নতুন বউ’, ‘এখনই সময়’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘তোমাকে চাই’ ‘দেশপ্রেমিক’, ‘ঘৃণা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ইত্যাদি।’
বিবার্তা/যুথি/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]