শিরোনাম
‌‌‘ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন’
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২৭
‌‌‘ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।


রবিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে নগরবাসীর প্রতি এ আহবান জানান তিনি।


পুলিশ কমিশনার বলেন, আসুন আমরা সবাই ট্রাফিক আইন মানি, অপরকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করি। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।


সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মানতে হবে।


যানজটমুক্ত ঢাকা গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করে কমিশনার বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। এ জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ।


তিনি বলেন, সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করতে আন্দোলন করেছিল আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের দেখানো পথ অনুসরণে আমরা প্রথমে ১০ দিনব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি। পরবর্তী সময়ে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানোসহ রেকারিং করা হয়েছে। মামলা ও জরিমানা করা শেষ কথা নয়। আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।


আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা শহরে ১৩০টি বাস স্টপেজে ‘বাস স্টপেজ শুরু’ ও ‘বাস স্টপেজ শেষ’ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। শত বছরের অভ্যাস বা অনিয়ম এক মাসে পরিবর্তন হবে এটা আশা করা যায় না। তবে আমরা আশাবাদী সকলে সচেতন হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।


তিনি বলেন, তবে এই একমাসের কর্মসূচিতে আমাদের অনেক সাফল্য এসেছে। ট্রাফিক আইন নিয়ে আমাদের কঠোর অবস্থানের ফলে বর্তমানে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী কমে গেছে। আগের থেকে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।


আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের বড় সমস্যা উল্লেখ করে কমিশনার আরো বলেন, সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুরোধ করব, আপনারা আইন মানুন, অন্যকে আইন মানতে উৎসাহিত করুন। সবার ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে, ট্রাফিক আইন মানতে হবে। সকলের মাঝে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কারও পক্ষে ফেরানো সম্ভব না।


কোনো ধরণের অনিয়ম ডিএমপি করবে না, কাউকে করতেও দেবে না এমন ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, অন্যায়কারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে, অনিয়ম দূরকরণ ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার তা করব।


সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার গণপরিবহনের যাত্রীদের মাঝে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। সেই সাথে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের উৎসাহ দিতে শুভেচ্ছা উপহার দেন ডিএমপি কমিশনার।


এ সময় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/খলিল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com