শিরোনাম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ধীরগতি আরো বোঝা হয়ে দাঁড়াবে
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ধীরগতি আরো বোঝা হয়ে দাঁড়াবে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন যদি পরিকল্পিতভাবে তরিৎগতিতে সম্পন্ন না হয়, তাহলে তা দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সমাজের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।


ঢাকায় বিশ্ব ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, পানি ও স্যানিটেশনসহ জরুরি প্রয়োজনসমূহ দাতাদের সহায়তায় পূরণ করা হচ্ছে।


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাতাদের সহায়তা যদি হ্রাস পায়, তাহলে বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গাদের বোঝা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।


ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষ দেশীয় ও বিদেশের সম্পদ থেকে এসব চাহিদা পূরণ করবে। আগামী ছয় বছরে অভ্যন্তরীণভাবে উচ্চসুদে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে ১০০ কোটির কিছু বেশি ডলার ছাড়হীন শর্তে ঋণ নিতে হবে। এছাড়াও বর্ধিত চাহিদা মিটাতে আমদানি প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ৯ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে।


যুক্তরাজ্যের বর্নমাউথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার মেহেদি চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে অবস্থান দেশটির সরকারের উপর বিরাট আর্থিক বোঝা হিসাবে চেপে বসেছে।


বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার সাম্প্রতিক সফরকালে তিনি বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে ক্যাম্পগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বাৎসরিক ব্যয় দাঁড়াবে ১৫.২৪ মিলিয়ন ডলার। ১ হাজার ৭শ’ ডলার মাথাপিছু আয়ের বাংলাদেশের জন্য এটা বিরাট একটি অঙ্ক।


উল্লেখ্য মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গারা এর আগেও ১৯৭৮, ১৯৯২ এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তবে ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে এবং সর্বাধিক সংখ্যক প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com