শিরোনাম
ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫৯ জনের
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৬
ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫৯ জনের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঈদুল আজহায় ১২ দিনে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩৭টি দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই হিসাবে গত রোজার ঈদের চেয়ে কোরবানির ঈদের সময় সড়ক দু্র্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা কমেছে। সেজন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কৃতিত্ব দিচ্ছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।


ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন ২০১৮ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী।


আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।


সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ অগাস্ট থেকে ঈদের পর ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।


মোজাম্মেল বলেন, ঈদুল ফিতরের তুলনায় দুর্ঘটনা ১৪.৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩.৫৯ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ২৪.১১ শতাংশ কমেছে। তবে গতবছরের ঈদুল আজহার তুলনায় নিহত ১৩.৫০ শতাংশ এবং আহত ১১.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান খান ও আইনজীবী জোতির্ময় বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন এ সংবাদ সম্মেলনে।


‘জবাবদিহিতার অভাবকে’ সড়কের মূল সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “দুর্ঘটনা পৃথিবীর সব দেশেই হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলার কারণ আমাদের এখানে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর অর্ধেক চাইলে এড়ানো যেত।”


সরকারের দুজন মন্ত্রীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির শীর্ষ পদে থাকার বিষয়ে ইংগিত করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে যারা নীতি নির্ধারণ করেন, তিনিই আবার মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি। জবাবদিহিতার ব্যাপারে যে অনাগ্রহ এর মূলে রয়েছে এই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।”


বাংলাদেশে দুই ঈদের মওসুমে নগর থেকে গ্রামের বাড়িতে যায় কোটি মানুষ। ফলে ওই সময় সড়ক মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি চাপ থাকে। ফিটনেসহীন যানবাহন, বেপরোয়া চালনার পাশাপাশি সড়কের দুরবস্থার কারণেও ওই সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী অনেক বেড়ে যায়।


গত রোজার ঈদের পর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত এবং ১২৬৫ জন আহতের তথ্য দিয়েছিল। কিন্তু ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির বিরুদ্ধে ‘মনগড়া তথ্য’ প্রকাশের অভিযোগ আনেন এবং সমিতির নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।


গত ১০ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী বলেন, “একটা ভুয়া জনকল্যাণ সমিতি বাংলাদেশে আছে, যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এরকম একটি লোক ওই সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়। সময়ে সময়ে তাকে মতলবি মহল আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। আমি দেখি সমাজের অনেক বিশিষ্টজনও এই লোকটির সংবাদ সম্মেলনে এসে হাজির হয়।”


সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেইফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এলায়েন্সের আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিআরটিএ এর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান ও এফবিসিআই এর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক।


বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com