বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।
চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল সফরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রেস সচিব বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে নেপালের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। এ অঞ্চলের সবার অভিন্ন সমস্যা দারিদ্র্যতা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র দূরীকরণ। আমরা শুধু নিজেরাই উন্নত দেশ হতে চাই না। আমরা চাই, আমাদের প্রতিবেশীরাও উন্নত হোক।
এ সময় নেপালকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
দুযোর্গ মোকাবিলা পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনায় নেপাল বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নেপাল থেকে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ নেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাসো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল ও কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে দেওয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা। এসময় তাকে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়।
বিবার্তা/জাকিয়া
>>বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে নেপালে প্রধানমন্ত্রী
>>বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে নেপালের পথে প্রধানমন্ত্রী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]