দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কোনো আইনেই দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি সোমবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

নতুন আইনের কারণে দুদকের দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদক ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে কখনই বসে থাকবে না, গ্রেফতারও থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের সময় গ্রেফতার হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি। ‘কেউ বলে দুদক নখদন্তহীন বাঘ, ওই জমানা আর ফিরে আসবে না। জনগণের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণেই ঘুষখোর বা দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ যেভাবেই পাস হোক না কেন, যেসব অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রয়েছেন, তাঁদের কিন্তু উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সরকারি চাকরি আইন নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো হয়নি। বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আইনটা পাস হতে এখনো সময় লাগবে। সংসদে যাবে, আলোচনা হবে। তবে আমার প্রতিক্রিয়া হলো কোনো আইনই দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য হয় না। সৎ কর্মচারীদের সুরক্ষা দেওয়ায় আইনের প্রয়োজন আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সাংবাদিকরা ফাঁদ মামলা পরণতি নিয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ফাঁদ মামলা চলবে। যে কোনো আইনেই দুদকের দায়িত্বপালনে কোনো সমস্যা হবে না। ঘুষখোরদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা, দুদকের আইন আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দুদককে পরাধীন সংস্থা করা না হচ্ছে, তত দিন কিন্তু স্বাধীন থাকবে। দুদক কারও অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না, এটা আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই।’স্বাধীন কমিশন যত দিন আছে, তত দিন দুর্নীতি করে পার পাওয়া এত সহজ হবে না।

বিবার্তা/রোকন/কাফী