প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কফি আনানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি সমর্থনের কারণে তিনি সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক ও জনগণের প্রতি তার নেতৃত্বাধীন পরামর্শক কমিশনের (অ্যাডভাইজরি কমিশন) প্রতিবেদনে যে সমর্থন প্রদান করা হয়েছে, তাতে কফি আনান সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী এমন এক নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, যিনি যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে কখনো পিছপা হননি।
শেখ হাসিনা বলেন, কফি আনান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের ওপর পরামর্শক কমিশনের দুরুহ কাজটি গ্রহণ করেছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কফি আনানের কাজ ছিল রোহিঙ্গাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা এবং টেকসই সমাধানের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে শান্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে কফি আনান তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। সাবেক মহাসচিব বিশ্ব শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার মৃত্যু ‘দ্য এলডারস’এর মাধ্যমে বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিশ্ব শান্তির জন্য শূন্যতা সৃষ্টি করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘গণতন্ত্রের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টার পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাকে সব সময় স্মরণ করবে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখার ব্যাপারে তিনি (আনান) সর্বদা যে সমর্থন দিয়ে গেছেন, সে ব্যাপারেও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
কফি আনান ফাউন্ডেশনের এক ঘোষণায় বলা হয়, কফি আনান পরিবার ও কফি আনান ফাউন্ডেশন গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছে যে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কফি আনান শনিবার সামান্য অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]