শিরোনাম
বসুন্ধরা ও রামপুরায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৪
বসুন্ধরা ও রামপুরায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে।


সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রগতি সরণিতে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়।


এর পর শিক্ষার্থীরা বসন্ধুরা আবাসিক এলাকার ভেতরে অবস্থান নেন। অন্যদিকে পুলিশ বাইরের সড়কে অবস্থান নেয়।


এ সময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।


পরে দুপুর দেড়টার দিকে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া করেন।


বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান গেটে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।


এদিকে রামপুরা ও আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সঙ্গেও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।


সোমবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন একজন সংবাদকর্মী। ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সরাতে টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে মেরুল বাড্ডার দিক থেকে একদল যুবক লাঠি নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।


লাঠি হাতে যুববকদের মধ্যে বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদেরও দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় একজন বাসিন্দা।


এক পর্যায়ে ওই যুবকরা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ পথচারীদের ওপর চড়াও হয়। স্কুলের পোশাক পরিহিত দুজনকে এ সময় পেটাতে দেখেন একজন সংবাদকর্মী।


এক পর্যায়ে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেন। তারা শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বললে তারা না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।


পরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে শিক্ষার্থীরা ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভেতরে চলে যায়। লাঠি হাতে রাস্তায় অবস্থান নেয়া যুবকরা তখনও ইউনিভার্সিটির দিকে ঢিল ছুড়ছিল।


এ সময় সেখানে দায়িত্বরত প্রথম আলোর প্রতিবেদক নাসরিন আক্তার সুমির ওপর চড়াও হয় একদল যুবক। তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা।


পরে তাকে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে ফোনের সব তথ্য পুলিশ মুছে ফেলে বলে অভিযোগ করেন সুমি।


বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com