শিরোনাম
কোথাও যানজট, কোথাও ফাঁকা
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৮
কোথাও যানজট, কোথাও ফাঁকা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা চতুর্থ দিনের মতো রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, সাইন্সল্যাব, শাহবাগ, কাওরানবাজার, মতিঝিল, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।


শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে রাজধানীতে কোথাও যানজট এবং কোথাও রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।


জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।


ওই ঘটনায় সোমবারও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের দুই দিক অবরোধ করে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়। এছাড়া গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তাদের তুলে দেয়।


এছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরসহ যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ২০টি পয়েন্ট অবরোধ করেন। এ সময় বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়।


এ ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকাল থেকে ফের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।



বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর, ফার্মহেট, শাহবাগ, বাংলামোটর, মালিবাগ, মিরপুর, শ্যামলী, মহাখালী, বিজয় সরণি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি বাস এলেও তাতে সবাই উঠতে পারছেন না। ঠেলাঠেলি করছেন। বিক্ষোভে সড়ক আটকে থাকায় রাজধানীবাসীর চলাচল যেমন থমকে গেছে, তেমনি পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।


সকালে অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। রাজপথের সড়ক সকাল থেকেই ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলছে। এছাড়াও রাজধানীর ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকায় দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকা পড়েন যাত্রীরা।


করিম নামের এক যাত্রী জানান, তিনি রাজধানীর ফার্মগটে এলাকায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে একটি বাসের দেখা যান। মালিবাগ রেইলগেই যাওয়ার জন্য তিনি ওই বাসে উঠেন। কিন্তু বাংলামোটর যাইতে সময় লেগেছে ৪০ মিনিট। পরে তিনি বাস থেকে নেমে হেঁটে মালিবাগের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।


বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে কথা হয় শিকড় পরিবহনের আবুল হোসেন নামের এক চালকের সাথে। তিনি বিবার্তাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনেক এলাকায় ফাঁকা রয়েছে। আবার অনেক এলাকায় জ্যাম। তবে যেখানে জ্যাম সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ায় থাকতে হয়।


উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতেই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। পরে সোমবার বিকেলে বরগুনা থেকে জাবালে নূর পরিবহনের সেই বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহকে (৩০) গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়াও হেলপার এনায়েত (৩৮), রিপন (৩২) চালক মোঃ জুবায়ের (৩৬) ও সোহাগ (৩৫) নামের আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।


গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও তাদের বিচার কঠোরভাবে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিদের্শ দিয়েছেন।


বিবার্তা/খলিল/জাকিয়া


>>আজো রাস্তার শিক্ষার্থীরা

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com