শিরোনাম
বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৩
বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।


সোমবার সকাল ১০টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে ট্রাফিক ও থানা পুলিশসদস্যদের বাধায় তাদের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।


পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করতে গেলে সেখান থেকেও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় উত্তরাগামী বাস থামিয়ে বেশকিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশ সদস্যরা জোর করে বাসে তুলে দেয় বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, পুলিশ আমাদের জোর করে সরিয়ে দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। বলছে থানায় নিয়ে পেটানো হবে, রাজনীতির মামলা দেবে। এসব বলে ভয় দেখাচ্ছে। জোর করে বাসে তুলে দিচ্ছে।


এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের সামনে ফের জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।


পুলিশ জানায়, ‘রাস্তা ক্লিয়ার আছে। যানচলাচল স্বাভাবিক।’ তবে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় বিক্ষোভ, ধাওয়া ও শিক্ষার্থীদের দৌড়াদৌড়ির মধ্যে রাস্তায় যানচলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।


ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী সাহান হক বলেন, রবিবারের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আজ সোমবারও রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। বিক্ষোভ শুরু করে। যানবাহনের ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। যানমালের নিরাপত্তা ও রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাসের বেপরোয়া চলাচল বন্ধ করতে হবে। ঘাতক বাস দুটির চালক ও হেলপারসহ মালিকপক্ষকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।


শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রুবা বলেন, আমরা বিক্ষোভ করছিলাম, রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। কিন্তু কোনো যানবাহন ভাঙচুর করা হয়নি। পুলিশ এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে, ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।


ওই ছাত্রী আরো বলেন, আমাদের দাবি, ঘাতক বাস দুটির চালক ও হেলপারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা রবিবারই দুই চালক ও হেলপারকে আটক করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। এ সড়কে বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।


গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।


ওই দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুইজন হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।


বিবার্তা/শান্ত/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com