শিরোনাম
নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫১
নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলে আমি দুই মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে আপনারা আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। কারণ নৌকা মার্কায় ভোট দিলে কেউ বঞ্চিত হয় না।


শনিবার রাজধানীর বাড্ডা নর্থ ইউলুপ উদ্বোধন শেষে ভাষণদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক যদি দশ বছরও বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হতো। কিন্তু দুভার্গ্য আমরা জাতির জনককে অকালে হারিয়েছি।


তিনি আরো বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ড অব দ্য ইস্ট। জাতির জনকের এই স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। আমার আর ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি চাই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হোক। বাংলাদেশে এখন আর ক্ষুধা নেই।


যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে আট লেন মহাসড়কের কাজ শুরু করেছি। উত্তরা থেকে মতিঝিলে মেট্রোরেল চালু করা হবে। রেল কেবল মাটির নিচ দিয়ে যাবে না, এখন আকাশ দিয়েও যাবে।


শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসের জন্য আমরা ২০ বছরের কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছি। এই হাতিরঝিল এলাকা ছিল দুর্গন্ধময় এলাকা, এখন সেটি হয়েছে রাজধানীবাসীর বিনোদনের জায়গা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় দুর্গন্ধময় এই এলাকা এখন সবুজের সমারোহে পরিণত হয়েছে। অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করায় আমি সেনাবাহিনী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমগ্র ঢাকায় রিং রোড নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ঢাকার আশেপাশে ছোট ছোট শহর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এই ছোট ছোট শহরে সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে। যাতে ঢাকা শহরের মধ্যে মানুষদের বসবাস করার প্রয়োজন না হয়।


তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতে এক ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এ জন্য দ্রুতগতি বা বুলেট ট্রেনের পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এভাবে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-বরিশালে দ্রুতগামী ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ আমরা তৈরি করব। যাতে মানুষ দিনের দিন ঢাকায় এসে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দিনের দিন ফিরে যেতে পারে।


তিনি বলেন, এখন যে পান্থপথ ছিল সেটি খাল ছিল। খালগুলো বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। আমরা খালগুলোর ওপর দিয়ে এলিভেটেড রাস্তা করে দেব। শহরের মতো গ্রামের খাল-পুকুরও সংস্কার করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। যাতে ঢাকার মতো গ্রামের মানুষকে সুন্দরভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করা যায়। আমরা গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করব।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে শুধু এটুকু বলব সকলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন। আমরা সরকার গঠন করেছি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হবে। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই জনসাধারণের চলাচলের জন্য ইউলুপটি খুলে দেয়া হয়।


২০১৫ সালের জুনের দিকে শুরু হয় বাড্ডা ইউলুপের কাজ। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালে এসে ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের ইউলুপের কাজ শেষ হয়।


যানজট কমাতে ওই সড়কের মেরুল এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বাড্ডা ইউলুপ। ইউলুপটি ব্যবহার করে হাতিরঝিল থেকে বের হয়ে সহজেই রামপুরা-বনশ্রী-মালিবাগের দিকে যাওয়া যাবে। একইভাবে এসব এলাকা থেকে যেকোনো যানবাহন নির্বিঘ্নে হাতিরঝিল দিয়ে কাওরান বাজার বা মগবাজারের দিকে যেতে পারবে।


হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্মিত করা হয়েছে বাড্ডা ইউলুপ। যার দৈর্ঘ্য ২১৫ মিটার আর প্রস্থ ৮-১২ মিটার।


বিবার্তা/রোকন/কাফী


>>বিকেলে বাড্ডার ইউলুপ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com