স্বাস্থ্য সনদের জন্য জনপ্রতি ৩শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। না হলে ঢাকার সিভিল সার্জন অফিস থেকে স্বাস্থ্য সনদ মেলে না। এমনটাই দাবি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে এমনটাই প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেছেন, তারা বুধবার অভিযান চালিয়ে দেখেছেন স্বাস্থ্য সনদের জন্য জনপ্রতি ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।
হটলাইনে (১০৬) এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পর রাজধানীর আজিমপুরে ঢাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এদিন আকস্মিক অভিযানে যান।
প্রনব ভট্টাচার্য্য বলেন, “অভিযানে দুদক দলের জিজ্ঞাসাবাদে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারীরা স্বীকার করেছেন, তারা জন প্রতি ন্যূনতম ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।”
এই অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ দিন যাবৎ এ দুর্নীতি চলছে। গৃহীত জবানবন্দি ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দুদক দায়ীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
ঘুষ গ্রহণকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতারের জন্য দুদকের ফাঁদ দল নজরদারি চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দুদক কর্মকর্তাদের অভিযোগের বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযানের সময় দুদকের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারপত্র এবং দুদক হটলাইনের (১০৬) এর স্টিকার বিলি করা হয়।
বিবার্তা/খলিল/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]